
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশের পরই দলটির নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
রবিবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন তিনি।
সিইসি বলেন, “সরকারের গেজেট প্রকাশের পরেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গেজেট প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবে।
“কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান স্পিরিট বুঝেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কালকে গেজেট হয় তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
জনরোষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দাবি ওঠে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধেরও। তবে কোনো কোনো দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন।
কিন্তু ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তীব্র হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবির মুখে গতকাল রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে দলটির নিবন্ধন কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, গেজেট প্রকাশের পরেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশের বর্তমান স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।