মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
মাইক্রোক্রেডিটের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও জনগণের উপযোগী করতে আলাদা ব্যাংক গঠনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে এই ব্যাংক পরিচালনায় নতুন আইন প্রণয়নের কথাও বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক হবে একটি সামাজিক ব্যবসার প্রতিষ্ঠান, যা মুনাফাভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক নয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
এমন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মাইক্রোক্রেডিটের জন্য একটি আলাদা ব্যাংক তৈরি করতে হবে। এ জন্য নতুন একটি আইন প্রয়োজন। এই ব্যাংকটি হবে সামাজিক ব্যবসার মডেলে পরিচালিত, যেখানে মালিকরা মুনাফা তুলতে পারবেন না।”
মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এই ব্যাংকের লক্ষ্য হবে জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ জন্মগতভাবেই উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হলে বেকারত্ব কমবে, মানুষ চাকরি খুঁজবে না, বরং নিজেই কাজ তৈরি করবে।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিতি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রমুখ।
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এমআরএ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৬ জুন।
১৬ তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত ভবনটি একটি বহুতল অফিস ভবন, যার সঙ্গে সীমানা প্রাচীর, গেট, গার্ড রুম, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ব্যবস্থা, সেপটিক ট্যাংক, সোক ওয়েল, সাইনেজ, ম্যুরাল ও ডিপ টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সহায়ক অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে।