Logo
×

Follow Us

সরকার

দাবি মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন কেন: প্রধানমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২৮

দাবি মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন কেন: প্রধানমন্ত্রী

মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন কেন চলছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছাত্ররা যারা, তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন ভিসি। তারপরও না কি তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে, জানি না। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে।’

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে বুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা তো পিছিয়ে থাকিনি। কোন দল করে, সেটা না, খুনিকে খুনি হিসেবে দেখি। অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবে দেখি। অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবে দেখি।’

তিনি বলেন, খবরটা পাওয়ার সাথে সাথে কারও আন্দোলনের অপেক্ষা করিনি, কারও নির্দেশের অপেক্ষা করিনি, সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি যে এদেরকে গ্রেপ্তার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে।’

সিসিটিভির ফুটেজ আনতে গেলে তার একটি কপি দিয়ে আসার দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ এই ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছিল, তখন তারা (আন্দোলনকারী) বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো.. কী করব। বললাম, তারা কী চায়। বলল, কপি চায়। বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও, এটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারব, ধরতে পারব, দেখতে পারব এবং সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই তিন-চার ঘণ্টা সময় যদি নষ্ট না করত, তাহলে তার আগেই হয়ত অনেকে পালাতে পারত না, তারা ধরা পড়তে পারত। এখানে সন্দিহান হওয়ার কিছু ছিল না। বিষয়টা কী আমি জানি না। সন্দিহান, না কি যারা জড়িত তারা বাধা, কোত্থেকে কী করেছে, বুঝতে পারি না। মনে হলো যেন আসামিদের চলে যাওয়ার একটা সুযোগই করে দেওয়ার.. না কি ছিল..ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি কিন্তু এক মিনিট দেরি করিনি। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, এই ধরনের অন্যায় করলে কখনো তা মেনে নেয়া যায় না।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র ঢোকানোর জন্য সামরিক শাসকদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার আমল থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে, সব সময় ছিল একটা অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রদের এক হাতে অস্ত্র, আরেক হাতে অর্থ দেওয়া হয়েছিল।’


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫