জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আজ রবিবার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

সকাল ৭টায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে (ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন) যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তিনি।

সকাল ৭টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করলে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী, তাঁর অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন সেই জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র।

এদিন জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দিনের শুরুতে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও এম মনসুর আলী এবং একই সময়ে রাজশাহীতে এএইচএম কামারুজ্জামানের কবরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেল ৩টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।