জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীর মামলার কাগজপত্র চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে তারা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বাংলাদেশ সরকারের দাবি যাচাই করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাশেদ চৌধুরী রাজনৈতিক আশ্রয়ের আওতায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সফররত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি যে আমরা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাই। বাংলাদেশ আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পলাতক আত্মস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর সকল খুনিকে দেশে ফেরত আনতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি আমরা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই, যেমনটি আপনার দেশে আপনি চান। তবে এক্ষেত্রে সমস্য হচ্ছে যে, পলাতক এক খুনি আপনার দেশে বসবাস করছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, রাশেদ চৌধুরীর বিচারের নথিপত্র যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছেন এলিস, যাতে তার সরকার রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বাংলাদেশ সরকারের দাবি যাচাই করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে এই প্রথম কোনো কাগজপত্র চেয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ। এবারই প্রথম তারা তার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তারা বলেছে, কাগজপত্র দিলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো এবং পরে (আমাদের অবস্থান) জানাবো।

বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনিকে ফেরত পাঠাতে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিশ্বব্যাপী আবেদন জানিয়েছে। এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় বসবাস করার কথা জানা গেছে।