আইএসের টুপি তৈরির দৃষ্টান্ত নেই: সিটিটিসি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০১

সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম। ফাইল ছবি
হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিগ্যান আদালত চত্বরে আইএসের পতাকার আদলে টুপি পরার বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আইএসের কোনো টুপি নেই।
তিনি বলেন, আমার জানামতে, আইএস কোনো টুপি তৈরি করেছে, পৃথিবীর কোথাও এরকম দৃষ্টান্ত নেই। তারপরও তাদের কোনো টুপি আছে কি না, তা বিশ্লেষণ করে দেখব। পাশাপাশি কারো গাফিলতির কারণে এরকম টুপি এজলাসে এসেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি টুপি। সেটিতে ‘লাইলাহা ইল্লালাহু’ লেখা। সেটি আইএসের পতাকার নির্দেশক হবে কি না, তা বিশ্লেষণের ব্যাপার। তারপরও এটি কোথা থেকে, কীভাবে আসলো, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখবো।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, “কালো কাপড় ব্যবহার করা যেকোনো জঙ্গি সংগঠনের রেওয়াজ। আল-কায়দার জঙ্গিরাও কালো কাপড়ে ‘লাইলাহা ইল্লালাহু’ লেখে। ফলে টুপিতে ‘লাইলাহা ইল্লালাহু’ লিখলেই কোনোকিছু বোঝা যায় না।”
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘টুপি বানানোর ধারণা আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মাথায়ও আসেনি। এই ক্ষেত্রে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখবো, এটি আইএসের টুপি কি না। পাশাপাশি এটি কীভাবে সে পেলো, সেখানে দায়িত্বে পালনে কারো গাফিলতি ছিল কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।’
আদালত চত্বরে ও কাঠগড়ায় জঙ্গিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের সমালোচনা করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গিরা আদালত প্রাঙ্গণে যে বক্তব্য দিয়েছে, প্রিজনভ্যানে যে বক্তব্য দিয়েছে, এতে প্রমাণিত হয়—তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর পক্ষেই তারা কথা বলেছে। এটি তাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।’
তিনি বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সময় পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছে, এই ২১ জনকে মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায় না। এদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। এত বড় নৃশংস হত্যাকাণ্ড যারা ঘটাতে পারে, সেটি আবার ধর্মের নামে জাস্টিফাই করে! তারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বার্তা আমরা আদালত প্রাঙ্গণে লক্ষ্য করেছি। দেশের সাধারণ মানুষ তাদের ঘৃণা করছে। তাদের এই ম্যাসেজ মানুষের মনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’ জঙ্গিদের এই আচারণে সাধারণ মানুষ আরো বেশি তাদের ঘৃণা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।