স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ছাড়া কোনোভাবেই কাউকে দেশের মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে পুশ ইনের খবরে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। যারা আসছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হলে আমরা রিসিভ করতে পারি। নইলে কোনোক্রমে গ্রহণ করব না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশইনের প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে   সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা হয়তো দেখেছেন বিভিন্ন সীমান্তে কিছু বাঙালি, এরা বাংলাদেশি কিনা আমি সঠিকভাবে এখনো নিশ্চিত নই। বাঙালিদেরকে এরা ভেতরে ঢোকানোর জন্য চেষ্টা করেছে। আমাদের বিজিবি কয়েক জায়গায় এদের ঢুকতে দেয়নি, অ্যালাউ করেনি। এদের সংখ্যা হাজার হাজার নয়, কয়েকশ’। 

তিনি বলেন, বিগত দিনে বিভিন্ন সময়েও আমরা দেখেছি পাঁচজন দশজন কিংবা পঁচিশজন পঞ্চাশজন করে তারা পুশ ইন করানোর জন্য প্রচেষ্টা নিয়েছে। তখন দেখেছি রোহিঙ্গাদেরকেও পুশ ইন করার একটা প্রচেষ্টা নিয়েছিল। রোহিঙ্গারা বিভিন্নভাবে ভারতের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশে চলে আসতে চেয়েছিল, সেগুলো আমরা ঢুকতে দেইনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা সুনিশ্চিত না হয়ে কাউকে আমাদের মাটিতে ঢুকতে দেবো না, এটা হলো আমাদের কথা। আমাদের বিজিবিও সেজন্য সচেতন আছে। আমি এটুকু বলতে পারি, যদি সে আমাদের নাগরিক হয়, আমাদের দেশের সুনিশ্চিত হলে তখন আমরা তাদের কীভাবে রিসিভ করবো সেটা অন্য বিষয়।

পুশ ইনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আছে কিনা- এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই গিয়ে থাকেন। যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন এদেরকে পাঠিয়ে দেয়। এরকম ঘটনা যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই রিসিভ করবো। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। 

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে এটা উস্কানিমূলক কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, না, কোনো উস্কানিমূলক নয়। যদি হাজার হাজার বা শত শত হতো তাহলে একটা আলোচনার ব্যবস্থা হতো। এগুলো অল্প কিছু সংখ্যক, এগুলোই গিয়েছিল এরাই ফিরে এসেছে কিনা, ভারত সরকারতো আমাদের কাছে কোনো চিঠি দেয়নি, কোনো আবেদনও করেনি। সবকিছু আমাদের জানতে হবে। না জেনে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। 

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে পুশ ইনের বিষয়ে কোনো আলোচনা করবেন কিনা? এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বলে দিয়েছিতো আমরা। আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনো আবেদন নেই। হয়তো কিছু পুশ ইন বেড়েছে, অস্বীকার করছি না। তবে কোনো ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের মাধ্যমে এখানে আসবে তা আমরা চিন্তা করি না।