উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৯

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি সংগৃহীত
স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে বহুদূর এগিয়ে গেছে। মানব উন্নয়নে, সামাজিক উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানিরা এই বলে তুষ্ট থাকতো যে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না। আজকে এখানে এসে পাকিস্তানিরা আক্ষেপ করে বলে বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। এমন আক্ষেপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠেও পাওয়া যায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানেই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্থকতা। এই উন্নয়ন এবং সার্থকতাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
যেকোনো মানুষের স্বপ্ন পূরণের তাড়না, তাগাদাও প্রচেষ্টা থাকতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি দেখার প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে তার সবস্বপ্ন পূরণ না হলেও অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনেও স্বপ্ন ছাড়া রাষ্ট্রকে বেশীদূর এগিয়ে নেয়া যায় না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থেকে ১১ বছর আগে দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। একটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং অন্যটি হলো দিনবদল। যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলো তখন অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশটা আসলে কি? অনেকে হাসিঠাট্টা করেছিল। বিশেষ করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হাসিঠাট্টা করেছিল।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালির উদ্বোধনকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা কেনো?- এ প্রশ্ন করে বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তার এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজাকারদেরই পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এতোদিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন।
রাজাকারের তালিকায় ভুলের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসান মাহমুদ বলেন, কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেনো হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।