Logo
×

Follow Us

সরকার

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা আজ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২, ০৪:১১

শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা আজ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

দেশের বৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ সোমবার (২০ মার্চ)। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর মধ্য দিয়েই পুরো বাংলাদেশে বিদ্যুতায়ন পরিপূর্ণতা পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণাও দেবেন।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানায় যৌথভাবে রয়েছে বাংলাদেশ ও চায়না পাওয়ার কম্পানি (বিসিপিসিএল)। বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি (এনডাব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।

পায়রায় বিসিপিসিএল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি করে ইউনিট রয়েছে। ২০২০ সালের জুন নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে। একই বছরের আগস্টে উৎপাদনে আসে দ্বিতীয় ইউনিট। তবে সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে বিসিপিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন। ’

সঞ্চালন লাইনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পায়রা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার লাইনটির পদ্মা রিভার ক্রসিং কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই কাজ শেষ হবে। এর পরই রাজধানীতে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জ- রামপাল গ্রিড লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রামপালে নির্মিত সাবস্টেশনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খুলনা অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দু-তিন দিন পর থেকে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। ’

তিনি জানান, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের বেশির ভাগ অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ করায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এক হাজার একর জমির ওপর নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বিসিপিসিএল। এই কেন্দ্রের নির্মাণকাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। সম্পূর্ণ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সরকারের মেগাপ্রকল্পের তালিকায় থাকা প্রথম ১০টির একটি। যা সবার আগে বাস্তবায়ন করে নজির স্থাপন করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগে উদ্যোগ নেওয়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনো উৎপাদনে আসতে পারেনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫