সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে রাস্তা, ফেরি এবং সেতুতে আগামী ১ মার্চ থেকে টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (আরটিএইচডি) সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন সড়ক, ফেরি ও সেতুতে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহনকালীন টোলের সমপরিমাণ অর্থ সেবা প্রদানকারী কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্সের চার্জ থেকে হ্রাস করার শর্তে সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করা হলো।
গত বছর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরে ১০ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় আরটিএইচডি। ওই চিঠিতে অ্যাম্বুলেন্সকে টোল আদায়ের আওতার বাইরে রাখারা সম্মতি চাওয়া হয়। নভেম্বরে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
ডিসেম্বরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়ে এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব এবং আরএইচডির প্রধান প্রকৌশলীকে বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা বা নির্দেশিকা নেই। তাই এই উদ্যোগ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সুবিধা পাবে কী না তা এখনো অনিশ্চিত। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবাদাতারা এই টোল মওকুফকে কীভাবে সামঞ্জস্য করবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টস ও সিভিল সার্জনদের এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মতে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত অ্যাম্বুলেন্স ছিলো ৬ হাজার ৪২৪টি।
অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সংস্থা ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড বলছে, বর্তমানে সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালু রয়েছে।