Logo
×

Follow Us

সরকার

২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৫

২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে চলে যাবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠিানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো— ১. স্মার্ট সিটিজেন; অর্থাৎ প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবেন। ২. স্মার্ট ইকোনোমি; অর্থাৎ অর্থনীতির সব কাজই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হবে। ৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট; এটা ইতোমধ্যে অনেকটা করা হয়েছে, বাকিটাও করে ফেলা হবে এবং ৪. স্মার্ট সোসাইটি; অর্থাৎ আমাদের পুরো সমাজটাই হবে স্মার্ট।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমার ৭৬ বছর বয়স। বেশিদিন তো আর (বাঁচবো না)... যে কোনোদিন অক্কা পেতে পারি, তাই না? যে কোনোদিন চলে যেতে পারি। তারপর গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা... তারেক জিয়া-খালেদা জিয়াতো আমাকে ছেড়ে দেয়নি। বারবার আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি।

তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা আইভি রহমানকে হারিয়েছি, বহু নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। কিন্তু বারবার তো এ আঘাতগুলো এসেছে আমার ওপর, হয়তো সামনেও আসবে। আমি এগুলো পরোয়া করিনি, করবো না। আমি আমার পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান, সেটাও করে দিয়ে গেলাম। ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম।... আর ২১০০ সালে এই বদ্বীপ, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন এই বদ্বীপে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। দেশ উন্নত হয় এবং উন্নত দেশে স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে স্মার্টলি যেন তারা বাঁচতে পারে।

তিনি বলেন, এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশনের উপর, যুব সমাজের উপর। তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের উন্নতী; এটাই ছিল আমাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা সেই কাজটাই করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের প্রধান স্থাপনা জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম এবং সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। একই সময় বরিশালে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ এনডিসি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী ও বরিশাল প্রান্তে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫