Logo
×

Follow Us

সরকার

কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশের পাশে কানাডা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২, ০৮:৫১

কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশের পাশে কানাডা

কানাডারে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটগুলোর গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কানাডার একটি প্রতিনিধি দল গতকাল রবিবার (৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বিজ্ঞানীদের খাদ্য সংরক্ষণ, শস্য সংগ্রহ পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস, পুষ্টি বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও জলবায়ু সহিষ্ণু জাতের শস্য উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

উল্লেখ্য, দুই দেশের কৃষি গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় গত বছর কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইন্সটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (জিআইএফএস) আঞ্চলিক অফিস খুলেছে। ওই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এ অফিস পরিদর্শন করতে এসেছে।

পরে ওই প্রতিনিধি দল গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

সিবিই, ডিরেক্টর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার, সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইন্সটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), স্টিফেন ভিশার চার সদস্যের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলটির অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন— সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ড. বালাজিৎ সিং, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি, জিআইএফএস ড. এন্ড্রু শার্প এবং ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস।

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কানাডা সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখে। এজন্য বাংলাদেশ কানাডার প্রতি কৃতজ্ঞ। স্বাধীনতার পর যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে তাৎক্ষণিকভাবেই স্বীকৃতি দেয়, কানাডা (১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের অন্যতম।

তিনি আরো বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ, শস্য সংগ্রহে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে হলে জলবায়ু সহিষ্ণু জাতের শস্য উদ্ভাবনের দিকে সারা বিশ্বকে এগুতে হবে।

বৈঠককালে স্টিফেন ভিশার বলেন, ঢাকার জিআইএফএসের আঞ্চলিক অফিসকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেবেন তারা।

ড. বালাজিত সিং বলেন, পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য কেউ সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তারা তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করবেন। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার ও গাছের প্রজনন নিয়েও কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বোখতিয়ারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিএআরসি ও বিআইএফএস, সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে অংশীদারিত্ব গড়ে ওঠে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫