আলঝেইমারকে গুরুত্বপূর্ণ রোগ হিসেবে দেখা উচিত: বিএসএমএমইউ

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২২

বিশ্ব আলঝেইমার্স দিবস পালিত। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আলঝেইমার এমন একটি রোগ যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিত এবং এটার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আলঝেইমার দিবস পালন করা হয়। এক ধরনের ডিমেনশিয়া হচ্ছে এই আলঝেইমার।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব আলঝেইমার দিবস উপলক্ষে র্যালিতে একথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে উপাচার্য একটি বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন।
এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী প্রমুখসহ উক্ত বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য রোগটি প্রসঙ্গে বলেন, দিন দিন গোটা বিশ্বে এই রোগ বেড়েই চলেছে। তাই যাতে সাধারণ মানুষ এই রোগটা নিয়ে সচেতন হয়, সতর্ক হয় তার জন্যই ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় আলঝেইমারস ডে। এটি একটি নিউরোডিজেনেরেটিভ রোগ যা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং পরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কেসেই এটা ডিমেনশিয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, আলঝেইমার শব্দটি শুনলে যেটা আমাদের মনে পড়ে যে কথা ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা ইত্যাদি। এই রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে সব জিনিস ভুলে যাওয়া, কিছু মনে রাখতে না পারা। পরে সেটা বাড়তে বাড়তে কথা বুঝতে না পারা, ভাষা চিনতে বা বলতে না পারা, মুড সুইং, হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান এবং সচেতনতা প্রয়োজন।