চট্টগ্রামের বন্দরটিলা ও দক্ষিণ হালিশহরে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান রবিবার

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৩৫
চট্টগ্রামের বন্দরটিলা ও দক্ষিণ হালিশহরে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান আগামীকাল। ছবি: সিনিয়র রিপোর্টার
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানার অধীনে ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালি শহর) বসবাস কারীদের যারা সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন তাদেরকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। ইতোপূর্বে এলাকাবাসী যে সকল কেন্দ্র থেকে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, সে সকল কেন্দ্র থেকেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
টিকা প্রদান চলবে আগামী রবিবার (৮ অক্টোবর) থেকে ১২ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। গত মাসে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৩ জন টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার জন্য যোগ্য। এ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে, পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৫ হাজার ৫৭ জন ছেলে শিশু এবং ১৪ হাজার ৫৮২ জন মেয়ে শিশু ছাড়াও পাঁচ বছরের বেশি ৫২ হাজার ৭৭৭ জন পুরুষ এবং ৫২ হাজার ৮০৭ জন মহিলা প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্সকো. লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে প্রদান করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইপিআই ও আইসিডিডিআর, বি-র বাস্তবায়নে টিকা প্রদান কার্যক্রমটি চলছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আইসিডিডিআর, বি-র ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফিরদৌসী কাদরীবলেন, আমরা আনন্দিত যে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা ও দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কলেরা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি কলেরাসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিরাপদ পানি এবং ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনও অত্যন্ত জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কলেরা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগ্রহ দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে টিকার কোর্স সম্পূর্ণ করার জন্য আমি অনুরোধ করছি। আশা করি আগামী দুই বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে টিকা গ্রহীতারা কলেরা-জীবাণু দিয়ে যে ডায়রিয়া হয় তা থেকে সুরক্ষা পাবেন। অত্র এলাকার সকলেই কলেরা টিকা গ্রহণ করে এই রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নিরাপদ রাখার প্রয়াসে যুক্ত হবার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।