বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৮ ভাগ ও শিশু কিশোরদের মধ্যে ১৩ ভাগ মানসিক রোগে আক্রান্ত। আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় ৯২ ভাগ কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেননি।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা জানান। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিকস (বিএপি) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বাংলাদেশ তথ্যচিত্র ২০২১ অনযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের মধ্যে ১৮ দশমিক সাত শতাংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত, উদ্বেগাধিক্য চার দশমিক সাত শতাংশ, বিষন্নতা ছয় দশমিক সাত শতাংশ, সোমাটিক সিমটিম ডিজঅর্ডার দুই দশমিক তিন শতাংশ, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার দশমিক সাত শতাংশ, বাইপোলার ডিজঅর্ডার দশমিক পাঁচ শতাংশ, সিজোফ্রেনিয়া দশমিক এক শতাংশ।

বক্তারা বলেন, নগরায়ন, আর্থ সামাজিক অবস্থা, মানসিক চাপ, বংশগতি, অন্যান্য শরীরবৃ্ত্তি ও মনোসামাজিক কারণ মানসিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তারা মানসিক রোগ প্রতিরোধ এবং মানসিক রোগ চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রসঙ্গ, ১০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক মোহিত কামাল, অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. অভ্র দাশ ভৌমিক, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডা. মেখলা সরকার, ডা. ফারজানা রহমান ও সাইনোভিয়া ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার সেলস এ কে এম রফিক।