Logo
×

Follow Us

স্বাস্থ্য

ফার্স্ট এইড বক্সে যা রাখা উচিত

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৭

ফার্স্ট এইড বক্সে যা রাখা উচিত

ফার্স্ট এইড বক্স। ছবি: সংগৃহীত

বিপদ ও দুর্ঘটনা  কখনো বলে-কয়ে আসে না। যে কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব যদি খানিকটা হলেও পূর্বপ্রস্তুতি থাকে। এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করে। প্রাথমিক চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো ফার্স্ট এইড বক্স। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে ফার্স্ট এইড বক্স একটু ভিন্ন হতে পারে, তবে অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব কটিতে প্রায় একই থাকে।

ব্যান্ডেজ ও পরিষ্কার করার সামগ্রী : প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ক্ষত পরিষ্কার করার লোশন, তুলা ও ব্যান্ডেজ। অনেকেই ব্যান্ডেজ এবং ব্যান্ড-এইডের ব্যবহারিক পার্থক্য বুঝতে পারে না। দুটি জিনিসের কাজ আলাদা। তাই বাক্সে দুটিই রাখা প্রয়োজন। সামান্য কাটাছেঁড়াতে ব্যান্ড-এইড ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্ষত বেশি হলে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হতে পারে। আগে এসব ক্ষেত্রে তুলা ব্যবহার করা হতো। কিন্তু তুলার আঁশ ক্ষতস্থানে থেকে গেলে সেখানে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এখন তুলোর বদলে স্টেরিলাইজড গজ কাপড় ব্যবহার করতে বলেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া অ্যান্টিসেপটিক দেওয়া ওয়াইপসও বেশ কাজের।

থার্মোমিটার : দেহের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার প্রয়োজন। তাই ফার্স্ট এইড বাক্সে একটি থার্মোমিটার রাখতেই হবে। মুখের ভেতর বা দেহের সংস্পর্শে থার্মোমিটার রাখলে তা পরিষ্কারও করতে হয় সঠিকভাবে। প্রতি বার থার্মোমিটার ব্যবহার করার পর সেই পদ্ধতি মেনে যন্ত্রটি ধুয়ে রাখতে হবে। 

ওষুধ : গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, কিছু ব্যথানাশক ওষুধ, পেট খারাপের ওষুধ, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথার ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইন, বমি, জ্বরের ওষুধ ইত্যাদি বক্সে থাকলে বিশেষ মুহূর্তে খুবই কাজে লাগে। বার্ন ক্রিম, ব্যথানাশক মলম, অ্যালার্জির ওষুধও রাখা যায়। এ ছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও রাখা যেতে পারে।

কাঁচি, চিমটা, সেফটিপিন : ক্ষতের পাশে প্রয়োজনে পরনের কাপড় কাটা, গজ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি কাটার জন্য কাঁচি দরকার। ক্ষতে ক্ষুদ্র ময়লা থাকে, যেগুলো তুলা দিয়ে মুছে ফেলা যায় না, আবার পানি দিয়েও পরিষ্কার হয় না। এ ক্ষেত্রে চিমটা দিয়ে তা পরিষ্কার করা যায়। সেফটিপিনও নানা কাজে ব্যবহার করা যায়।

হ্যান্ড গ্লাভস : হ্যান্ড গ্লাভস পরে কাজ করলে রোগীর ক্ষত স্থানে জীবাণু সংক্রমণের হার অনেক কমে যাবে। বক্সে এক প্যাকেট গ্লাভস রাখতে পারেন।

জীবাণুনাশক উপকরণ : বিভিন্ন প্রকার ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য প্রাথমিকভাবে জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয়। যেমন-স্যাভলন বা ডেটল। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা আয়োডিন-ভিত্তিক দ্রবণও ব্যবহার করা হয়। ক্ষতস্থানের আশেপাশে পরিষ্কার করার জন্য অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করা যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫