
ফ্যাট জাতিয় খাবার। ছবি: সংগৃহীত
খাবারে ফ্যাট বা চর্বি! শুনলে একটি নেতিবাচক অনুভূতি আসে। তবে সব ফ্যাট খারাপ না। মানব শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম ফ্যাট। এটি দেহের তাপশক্তি উৎপাদন, মস্তিষ্কের বিকাশ, বিভিন্ন হরমোনের উৎপাদন, চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণ (এ, ডি, ই, কে) এবং ত্বক ও অন্যান্য অঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বয়স, জীবনযাত্রার ধরন, শরীরের গঠন অনুযায়ী ফ্যাট গ্রহণ আলাদা হবে। খাদ্য হিসেবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ৫০ গ্রাম স্নেহ পদার্থের প্রয়োজন। মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর সুষম খাদ্যতালিকায় পুষ্টির সব ধরনের উপাদানই যথাযথ সমন্বয়ে থাকা উচিত।
বাজারে অনেক ব্রেডস্প্রেড পাওয়া যায়, যেগুলোতে কোলেস্টেরল নেই। যে কোনো উদ্ভিজ উৎসই কোলেস্টেরল-ফ্রি। আর কোলেস্টেরল শুধু প্রাণীজ উৎস থেকে আসে; কিন্তু এর মানে এগুলো চর্বি নেই। অনেকেই এই পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেন। মাঝে মাঝে ঘি-মাখন খেতে পারেন। তবে নিয়মিত খেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ এগুলো সবই স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
একইভাবে ট্রান্সফ্যাটও এড়িয়ে চলতে হবে। খারাপ ফ্যাট বা ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাদ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের পরিমাণ বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) কমিয়ে দেয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চানাচুর, ভুজিয়া, চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিম, বাটার, চিজ, পাম অয়েল, নারকেল তেল, ফ্রাই ও বেকড করা খাদ্যে এই ফ্যাট বেশি পাওয়া যায়। অনেক বাড়িতে বিকালে মুড়ি-চানাচুর খাওয়ার চল আছে। এটাও ভালো নয়। কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়াসিড, তিসি, তিল ইত্যাদি নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন; এগুলো ভালো ফ্যাটের উৎস।
ফিট থাকতে, সঠিক পুষ্টির জন্য নিজের মনকেও প্রস্তুত করতে হবে। আর ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই ফ্যাটজাতীয় খাবার একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। ভালো ফ্যাট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ এবং খারাপ ফ্যাট বর্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।