ফ্যাটি লিভার চিকিৎসায় বাংলাদেশি গবেষক দলের অনন্য সাফল্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৮

বশেমুরবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও তার গবেষণা দল ফ্যাটি লিভার চিকিৎসায় বিশেষ সফলতা পেয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও তার গবেষণা দল বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো ফ্যাটি লিভার ডিজিজের চিকিৎসায় বিশেষ সফলতা পেয়েছেন।
দীর্ঘ ৫ বছরের প্রচেষ্ঠায় মলিকুলার লিপিডোমিক অ্যান্ড মেটাবলিক ডিজিজ রিসার্চ ল্যাবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি) এর চিকিৎসায় থেরাপিউটিকস আবিষ্কার করেন অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের গবেষণা দল।
সম্প্রতি তার এ-সংক্রান্ত মাইলফলক সৃষ্টিকারী গবেষণাপত্রটি ইংল্যান্ডের স্বনামধন্য জার্নাল ‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
যকৃত বা লিভারে অল্প পরিমাণ চর্বি থাকা স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক মাত্রায় চর্বির উপস্থিতিকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার। যদি এর কারণ হিসেবে মদ্যপানের ইতিহাস না থাকে, তবে তাকে নন- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি) বলা হয়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
আর উন্নত দেশগুলোতে রীতিমত উদ্বেগ তৈরি করা এই রোগে প্রতি হাজারে অন্তত ৪৭ জন আক্রান্ত হচ্ছে। যেখানে নারীর তুলনায় পুরুষদের আক্রান্তের হার বেশি। এমন বাস্তবতায় ড. সোহেল হাসানের গবেষণা দলের সাফল্য স্বল্প খরচে ফ্যাটি লিভার ডিজিজের চিকিংসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি এই রোগের চিকিৎসায় ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনের মানদণ্ড নির্ধারণ করতে ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, আমরা ভিশন আনন্দিত দীর্ঘ পাঁচবছর গবেষণা করে ফ্যাটি লিভার ডিজিজের মত একটা রোগের থেরাপটিক আবিষ্কার করতে পেরেছি। আমরা সবার দোয়া চাই এবং সকলের সহযোগিতা চাই। যেন আমরা গবেষণায় উন্নতি করতে পারি এবং বশেমুরবিপ্রবিতে গবেষণার দাড় উন্মোচন করতে পারি।