Logo
×

Follow Us

স্বাস্থ্য

প্যানক্রিয়াস অপারেশনে ‘সহিদ পদ্ধতি’র সফলতা অনেক বেশি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৩

প্যানক্রিয়াস অপারেশনে ‘সহিদ পদ্ধতি’র সফলতা অনেক বেশি

প্যানক্রিয়াস পাথরে সহিদ পদ্ধতি শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়। প্যানক্রিয়াসের কাজ হলো পাচক রস বা এনজাইম তৈরি করে খাবার হজম করা। আর ইনসুলিন বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন তৈরি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই প্যানক্রিয়াসে ইনফেকশন, পাথর, টিউমার ও ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ হতে পারে।

সাধারণত প্যানক্রিয়াসের যে অঞ্চলে গরম বেশি পড়ে সে অঞ্চলে পাথর বেশি হয়।

আশার কথা যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোবিলিয়ারি প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুর রহমান নিজের মেধা দিয়ে প্যানক্রিয়াস পাথর অপসারণের এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যার নাম ‘সহিদ পদ্ধতি’। এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ। জার্মান, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতির সফল উপস্থাপন করে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।

নতুন এই পদ্ধতি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও উজ্জ্বল করেছে।

গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে আয়োজিত ‘প্যানক্রিয়াস পাথরে সহিদ পদ্ধতি’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও বিশেষ আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালসের পৃষ্ঠপোষকতায় এ পদ্ধতির বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন এর আবিষ্কারক অধ্যাপক ডা. সহিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

বিশেষ আলোচক ছিলেন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মহসিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. সারোয়ার আহমেদ সোবহান।

অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুর রহমান বলেন, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিজস্ব এই পদ্ধতির মাধ্যমে অপারেশন শুরু করি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২১১টি সার্জারি করেছি।

তিনি বলেন, প্যানক্রিয়াস পাথর চিকিৎসায় পুরাতন অনেক পদ্ধতির চেয়ে ‘সহিদ পদ্ধতি’র সফলতা অনেক বেশি।

এ পদ্ধতিতে চিকিৎসায় সময় কম লাগে, রক্তপাত খুবই সামান্য, কোনো প্রকার জটিলতা নেই, মৃত্যুর হার শূন্য। পুরাতন পদ্ধতিতে ব্যথা নিরাময়ের হার মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ভাগ, সেখানে এই পদ্ধতিতে ব্যথা নিরাময়ের হার ৯৬ ভাগ।

তিনি জানান, যারা মদ পান করেন তাদের মাঝে এ রোগের হার বেশি। রোগের লক্ষণ হচ্ছে, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, ব্যথার তীব্রতা ইত্যাদি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫