এইচএমপিভির পর আমেরিকায় ছড়াচ্ছে ‘র্যাবিট ফিভার’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫
-6784dbef8621c.jpg)
প্রতীকী ছবি।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ চারিদিকে। চীনের পর বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস হানা দিয়েছে। এরই মধ্যে ফের এক প্রকার ভাইরাস নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। আমেরিকা জুড়ে হানা দিয়েছে ‘র্যাবিট ফিভার’। রোগটির নাম টুলারেমিয়া। শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন এই ভাইরাসে।
র্যাবিট ফিভার কী?
র্যাবিট ফিভার কোনও ভাইরাসজনিত রোগ নয়। এটি ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস নামক এক অতি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়।
আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' (সিডিসি)-র তথ্য অনুযায়ী, খরগোশ ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। মাছি বা অন্যান্য পতঙ্গ, প্রাণীর দেহাবশেষ এবং মলমূত্র থেকেও এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খামারে খরগোশ পালনকারীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পোষা খরগোশ থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
যেভাবে সংক্রমণ বাড়ে
নোংরা ও অপরিষ্কার পানি, বাতাস এবং সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি বা থুতুর মাধ্যমেও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। বাতাসের পানিকণার মাধ্যমেও দূর-দূরান্তেও জীবাণু পৌঁছাতে পারে।
উপসর্গ
র্যাবিট ফিভারের উপসর্গ ভয়ঙ্কর হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, বমি, পেটখারাপ, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বকে র্যাশ, ফুস্কুরি বা ত্বকের সংক্রমণও দেখা দিতে পারে। টুলারেমিয়ায় আক্রান্তদের বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা গেছে। শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
সতর্কতা ও প্রতিরোধ
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রাস্তাঘাটের কাটা ফল, সালাদ ও ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।