Logo
×

Follow Us

স্বাস্থ্য

৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৭

৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

কর্মবিরতিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া চিকিৎসক পদবি ব্যবহার বন্ধ, বিসিএস পরীক্ষার নিয়োগে বয়স বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কর্মবিরতি শুরু করে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসরা। গত সোম ও মঙ্গলবার প্রথম দফায় কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

২০১৩ সালে মেডিকেল সহকারীরা ‘চিকিৎসক’ পদবী ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১১ বছর ধরে এই মামলা বিচারাধীন থাকায় আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিকেল সহকারীরা এই উপাধি ব্যবহার করছেন। এতে রোগীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।

পাঁচ দফার মধ্যে চিকিৎসক পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিটের রায় ১২ মার্চ ঘোষণা করার কথা রয়েছে আদালতের। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা বাকি দফা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির মধ্যে দাবি মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। ঢাকা মেডিকেলসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে সেবা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন রোগীরা।

তবে চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের ১৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতিতে আছেন। স্থায়ী চিকিৎসকেরা ও নার্সরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা দায়িত্ব পালন না করায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেন মোহাম্মদ তসলিম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যেসব দাবি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস)/ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ছাড়া কেউ চিকিৎসক পদ লিখতে পারবেন না বলে দাবির প্রথম দফায় উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সংশ্লিষ্ট আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে।

২০১০ সালে ডিপ্লোমা অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ইন মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স-ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু হয়। ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) তালিকা নবায়ন করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ প্রেসক্রিপশন করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

আন্দোলনকারীদের তৃতীয় দাবি হলো, স্বাস্থ্য খাতে সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার-পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে। চিকিৎসকদের নিয়োগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

চতুর্থ দাবি, ম্যাটস ও মানহীন সরকারি এবং বেসরকারি কলেজগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) পদবি রদ করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বশেষ দাবিতে আন্দোলনকারীরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন চেয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫