
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ছবি- সংগৃহীত
ঈদে হাসপাতালে সেবা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য হিসাব করে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কর্মীদের একাংশকে ঈদের আগে এবং বাকিদের ঈদের পরে ছুটি দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) দপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৬টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ রোজার ঈদ হতে পারে, ওইদিন ঈদ ধরে এবার পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে ঈদের দিন সাধারণ ছুটি। আর ঈদের আগের দুই দিন এবং পরের দুই দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি।
নির্দেশনায় জরুরি বিভাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়ন এবং সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি কক্ষ, জরুরি ওটি ও রোগ পরীক্ষাগার সার্বক্ষণিক চালু রাখতেও বলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, “কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।”
প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি অনুমোদন করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে জেলার সিভিল সার্জন, কেবল ঈদের ছুটির সময় নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছে অধিদপ্তর।
হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনকল সেবা চালু রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটির সময় পর্যন্ত ওষুধ, আইডি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্ভিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফদের নিজ জেলা ও উপজেলায় থাকার কথা বলা হয়েছে।
ঈদের ছুটি চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগামপত্র দিতে হবে।
ছুটির সময় সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বহির্বিভাগ একাধারে ৭২ ঘণ্টার অধিক বন্ধ রাখা যাবে না। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
সকল বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতাল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে সার্বক্ষণিক জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখবে।
কোনো রোগী রেফার করার আগে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
রেফার্ড রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে।
যেকোন দুর্যোগ, অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।