
ছবি: সংগৃহীত
পেঁয়াজের গুণ অনেক। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল ও ভিটামিন সি। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগসহ ত্বকের অনেক সমস্যা সমাধানে এটি ব্যবহৃত হয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে পেঁয়াজের গুণের কথা উল্লেখ করেছে।
১। পেঁয়াজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি ও উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এতে থাকা উচ্চ পরিমাণের ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমের উন্নতিতে সহায়তা করে, টিস্যুর ক্ষয়রোধ করে এবং কোলাজেন গঠন করে।
২। পেঁয়াজ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া হাড়ের রোগেও এটি উপকারি।
৩। দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ খেতে পারেন।
৪। পেঁয়াজে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ খান তাঁরা অন্যদের তুলনায় বিভিন্ন ক্যান্সারের হাত থেকে বেঁচে থাকে।
৫। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে।
৬। পোকামাকড়ের কামড়, রোদে পোড়া দাগ, কিংবা ব্রণ-ফুস্কুরির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ক্ষতস্থানে পেঁয়াজের রস লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
পেঁয়াজের নানা উপকারিতা থাকলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁয়াজ খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট গুড হেলথ অলের এক প্রতিবেদনে পেঁয়াজের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে।
১। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাঁরা পেঁয়াজ এড়িয়ে চলুন। নয়তো ত্বকে র্যাশ ওঠা, ত্বক জ্বালা করা, চুলকানো এবং চোখের কোণে ফুস্কুড়ি দেখা দিতে পারে।
২। কারো কারো অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজ, যা আমাদের পাকস্থলী অনেক সময় হজম করতে পারে না।
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ খাওয়া হার্টের জন্য ভালো হলেও, অতিরিক্ত পেয়াজ খেলে ঝুঁকি বাড়ে।
৪। অতিরিক্ত পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের রস ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে ব্রণ, পিম্পল ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
৫। অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে রক্তচাপ অনেক কমে যায়। এর কারণে মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, হাইপারটেনশনজনিত সমস্যা দেখা দেয়।