
প্রতিদিন
শরীরে কমপক্ষে আধা ঘন্টা রোদ লাগানো প্রতিটি মানুষের জন্যই অতি জরুরি। রোদ অথবা ভিটামিন
ডি’র ঘাটতিতে হাড়ক্ষয়
বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকরা
বলছেন, মানুষের শরীরের ৮০ ভাগ ভিটামিন ডি আসে সূর্যের আলো থেকে। তবে ঠিক কোন সময়ের
রোদে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেশি থাকে, সেটা নিয়ে রয়ে গেছে আলোচনা-সমালোচনা।
গবেষকরা
বলছেন, দিনের ঠিক
মাঝামাঝি সময়ে যখন সূর্য আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করে, তখন শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’উৎপন্ন করে।
তবে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে অবস্থান করলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রোদে যেভাবে
থাকলে
বেশি
ভিটামিন
‘ডি’পাওয়া
যায়
শরীরের
যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবেন তত বেশি ভিটামিন
‘ডি’ সূর্য থেকে পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে অবস্থান করার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে আরও বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
ত্বকের
রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ়
(যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে
অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা
তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো,
তাকে তত বেশি সময়
রোদে থাকতে হবে।
শ্বেত
বর্ণের মানুষের শরীরের কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’উৎপন্ন হয়।