প্রতীকী ছবি
মস্তিষ্কে হঠাৎ রক্ত প্রবাহের ঘাটতিই হলো স্ট্রোক। রক্তনালির ভেতরের অংশে কোলেস্টেরল, চর্বি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি জমে রক্ত চলাচলের পথ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে এবং রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মস্তিষ্কের যেকোনো অংশে রক্ত সরবরাহ সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আবার রক্ত সরবরাহ বা পরিবহনের সময় যদি কোনো কারণে ব্যাঘাত ঘটে বা নালিকাগুলো ফেটে যায় তখন স্ট্রোক হয়।
একজন সুস্থ মানুষ পথ চলতে চলতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলেন কিংবা খেতে খেতে, বাথরুমে অথবা নামাজ পড়তে পড়তে একদিকে ঢলে পড়লেন বা অজ্ঞান হয়ে গেলেন-এ সবই স্ট্রোকের লক্ষণ। এটা যে কারো ক্ষেত্রে যেকোনো সময় হতে পারে, তবে ৪০ বছর বয়সের পর এর ঝুঁকি বেশি।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোক সাধারণত বাথরুমেই বেশি হয়ে থাকে।
বিভিন্ন কারণে বাথরুমে স্টোক হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের সচেতনও থাকা প্রয়োজন।
বাথরুমে ঢুকে গোসল করার সময় আমরা প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজাই, যা একদমই উচিত নয়। কেননা, মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। মাথায় প্রথমেই পানি দিলে সাথে সাথে রক্ত সঞ্চালনের গতি বহু গুণ বেড়ে যায়। সে সময় বেড়ে যেতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়াটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তারা টয়লেটে গিয়ে স্বাভাবিক বাথরুম না হওয়ায় শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে স্ট্রোকের শিকার হয়ে থাকেন।
উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ যা রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাবে। যারা উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তারা বাথরুমে স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন।
বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস একটি হরমোনজনিত রোগ। দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী বাথরুমে বেশি স্ট্রোক করে থাকেন।