
শুক্রাণুর প্রতীকী ছবি।
তামাক সেবন শরীরে জন্য ক্ষতিকারক- এ কথা জানেন না এমন কেউ নেই। ধূমপানের প্রভাবে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। হৃদরোগ, ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ হয় ধূমপানের কারণে।
সবকিছু জেনেও অনেকেই নিয়মিত ধূমপান করেন। নানান বিধিনিষেধ, সচেতনতা প্রচার সত্ত্বেও প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে শত শত সিগারেট। ধূমপানের প্রভাবে একদিকে যেমন শরীরে বাসা বাঁধছে নানান রোগ, তেমনই এর ক্ষতিকারক প্রভাব যৌন জীবনের ওপর পড়ে।
এক গবেষণায় জানা গেছে, ধূমপানের কারণে ছেলে ও মেয়ে উভয়ই যৌন জীবনে নানান জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে।
ধূমপানের কারণে পুরুষরা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মত মারাত্মক যৌন সমস্যা পড়ছেন। রক্তনালীতে থাকা রাসায়নিক পদার্থের ওপর সিগারেটের প্রভাবের কারণে পুরুষদের এমন রোগ হচ্ছে। এতে লিঙ্গের ধমনীতে সম্পূর্ণ রক্ত পোঁছাচ্ছে না। সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার প্রভাবে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর প্রভাবে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কমতে থাকে।
আর নারীরা ধূমপান করলে তাদের যোনিপথে তৈলাক্ততা হ্রাস পায়। ফলে যোনিপথ শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। যৌন উত্তেজনা হ্রাস পেতে থাকে। সমস্যা দেখা দেয় গর্ভধারণে। অন্যদিকে, গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হয়। তেমনই সন্তানের জন্মের পরও ধূমপান করতে নিষেধ করা হয়। বাচ্চা যতদিন স্তন্যপান করছেন ততদিন ধূমপান করা ক্ষতিকর। ধূমপান করলে বাচ্চার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়।
সিগারেটে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদান থাকে, যা মায়ের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। তেমনই পরোক্ষভাবে বাচ্চারও ক্ষতি করে। যতদিন বাচ্চা স্তন্যপান করছে ততদিন নিকোটিন গ্রহণ করতে বারণ করা হয়।
বন্ধ্যত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে ও যৌন জীবন সুখের করতে চাইলে নারী, পুরুষ উভয়কেই ধূমপান বন্ধ করতে হবে।