
ছবি: মেডিমেট্রি ডট কম।
শীতকাল মানেই ঠান্ডা অনুভূতি। আর সেই সাথে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি। আর এ সময় গলায় গরগর আওয়াজ খুব বিরক্ত লাগে। তবে জেনে রাখা ভালো, সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরের চিকিৎসা করা যায় ঘরোয়া উপায়ে। এতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার খরচটা বেঁচে যাবে। বাঁচবে আপনার সময়ও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে সর্দি, জ্বরের ঘরোয়া দাওয়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছে।
জানুন যেভাবে সর্দি, জ্বর তথা ফ্লু থেকে বাঁচবেন তার উপায় সম্পর্কে:
মধু ও তুলসীপাতা
মধু ও তুলসীপাতার গুণ অনেক। এই দুটো উপাদানই গলার কফ পরিষ্কার করে। কাশির সমস্যা সমাধান করে। তাই জ্বর, সর্দি-কাশিতে একইসঙ্গে মধু ও তুলশিপাতা খান।
আদা চা
আদা শুধু গলার কফ সরাতেই নয়, বুকের কফ পরিষ্কার করতেও কার্যকরী। ফুটন্ত পানি চিনি দিয়ে ফোটান। এরপর এতে চা পাতি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ফুটিয়ে আদা কুচি দিন। এতে পাতি লেবুর রসও মেশাতে পারেন। আদা চা খেলে সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। একইসঙ্গে দুর্বলতা কেটে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
ভিটামিন
শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগজীবাণু সহজেই শরীরকে আক্রমণ করতে পারে। ফ্লুও একই কারণে হয়। তাই ফ্লুকে কমাতে হলে বা প্রতিরোধ করতে হলে ভিটামিনস খাওয়া জরুরি।
অনেকেই ভিটামিনস সাপ্লিমেন্টস বেছে নেন। কিন্তু সবসময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস না বাছলেও চলে। কিছু কিছু খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ইত্যাদি পাওয়া যায়। তাই খাবারের সঠিক তালিকা তৈরি করুন। ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণ করুন।
তরল
কফ একবার বুকে জমে গেলে তা বের করা কঠিন। এমনকি ঠিকমত চিকিৎসা না করাতে পারলে হতে পারে ইনফেকশনও। তাই সর্দিকাশির সময় কোনোভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল। শুধু পানিই খেতে হবে তার কোনো নিয়ম নেই। ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবারও খেতে পারেন। এই তরল কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না।
বিশ্রাম
ফ্লু অনেকসময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। তাই এ সময় বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়া ভালো। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। তাই জ্বরে বিশ্রাম নিন, পর্যাপ্ত ঘুমান।