ওয়াই-ফাইয়ের অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৩

ফাইল ছবি
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সর্বাধিক ও প্রয়োজনীয় ওয়াই-ফাই। তারবিহীন ডিভাইসটি বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়, যার ব্যবহার বলা যায় প্রত্যেক ঘরে ঘরেই। একটি ডিভাইসে একাধিক মানুষ ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকতে পারে ডিভাইসটির কল্যাণে।
তবে কোনো ডিভাইসের সাথে ওয়াই-ফাইকে কানেক্ট করতে হলে কেবল লাগে না। WLANয়ের মাধ্যমে তা কানেক্ট করা হয়। এই WLAN সিগন্যাল বা ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ মানব শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর মোটেই নয়। বরং ওয়াই-ফাইয়ের জেরে মানব শরীরের বৃদ্ধির ক্ষতি হয়।
ওয়াই-ফাইয়ের এতসব সুবিধার মাঝেও অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশনের এক সতর্কবার্তায় এমন কথা বলা হয়েছে।
ওয়াওফাই থেকে যেসব সমস্যা হতে পারে–
- তরঙ্গ রশ্মির ফলে অনিদ্রা ও ঘুম ঘুম ভাব তৈরি হয়।
- শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে, ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে।
- ডিএনএ তে ফ্রাগমেন্টেশন ঘটিয়ে পুরুষের শুক্রাণু নষ্ট করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
- শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
- গবেষণায় দেখা গেছে, ওয়াইফাই বিকিরণের ফলে নারীদের কর্মশক্তি কমে যায়।
অথচ ওয়াই-ফাইের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়ত এখন সম্ভব নয়। তবে সংগঠনটির সতর্কবার্তায় ওয়াই-ফাইয়ের কুপ্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
- বেডরুম বা রান্নাঘরে ওয়াই-ফাইের রাউটার বসাবেন না।
- ঘুমানোর সময় ওয়াই-ফাইয়ের রাউটার বন্ধ করতে হবে।
- কাজের অবসরে রাউটার বা ব্লুটুথ স্পিকার বন্ধ রাখা জরুরি।
- প্রয়োজন না হলে ওয়াই-ফাই রাউটার চালু করা যাবে না। ফোনের এমবি প্যাকও চালু করা উচিত নয়।
- সম্ভব হলে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করে তারের সাহায্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে হবে।
বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, উক্ত পদক্ষেপে ওয়াই-ফাইের প্রভাব কমানো সম্ভব। তাই আপনার বাড়িতে ওয়াই-ফাই থাকলে, আপনিও শুরু করুন।