ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম হলো ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি বা ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম বোঝায়। সংস্কৃতিতে একে প্রাণায়ম বলে।
আমাদের জন্মের পরই নিজে নিজে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া শুরু করি। যা কেউ আমাদের শিখিয়ে দেয়নি। তাহলে আবার কেন আমরা এই ব্যায়াম করব? আমরা সবাই জানি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি, আর ছাড়ার সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। বর্তমান সময়ে অন্যতম সমস্যা বায়ুদূষণ।
প্রায় বড় বড় শহরে নানবিধ কারণে বাতাস ক্রমেই দূষিত হচ্ছে। তাই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসে ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে। তাই আমরা যদি নিয়মিত খুব সকালে সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ১০/১৫ বার করি, তাহলে শ্বাসকষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
সকালের বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই তখন এই ব্যায়াম করা ভালো। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সারাদিনে ১২ হজার লিটার বাতাস গ্রহণ করে, এর মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ ৫০০-২০০০ লিটার, যা ফুসফুসের ক্ষমতার ২৫ শতাংশ। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা তা বৃদ্ধি করে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অক্সিজেন ফুসফুসে ধারণ করতে পারি।
জেনে নেওয়া যাক শ্বাস-প্রশ্বাসের সহজ একটি ব্যায়াম-
পু-কু-র: পু-পুরক অর্থাৎ ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস নাক দিয়ে নেওয়া বা গ্রহণ করা। কু-কুম্ভক শ্বাস সামান্য সময় ফুসফুসে ধরে রাখা। রে-রেচক হালকা চাপ প্রয়োগ করে শ্বাস ধীরে ধীরে আবার মুখ দিয়ে ছাড়া। শ্বাস নেওয়া-ছাড়ার সময় হালকা চাপ প্রয়োগ করা যাতে শ্বাস নেওয়া বা ছাড়ার শব্দ শোনা যায়।
প্রধান প্রশিক্ষক ও পরিচালক, সেল্ফ ডিফেন্স অ্যান্ড ফিটনেস একাডেমি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh