
জো সালদানা, সেলেনা গোমেজ ও কার্লা সোফিয়া গাসকোন (বাম থেকে)। ছবিঃ সংগৃহীত
বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য রেকর্ড
সংখ্যক অস্কার মনোনয়ন পাওয়ার পরও, ‘এমিলিয়া
পেরেজ’ দ্রুতই বিতর্কের ঘূর্ণাবর্তে পড়েছে। এর কারণ,
ছবির তারকা কার্লা সোফিয়া গাসকোনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে
তৈরি হওয়া বিতর্ক।
সেরা অভিনেত্রীর জন্য অস্কারে প্রথম
ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে মনোনীত গাসকন, ইসলাম,
মার্কিন বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ, এমনকি অস্কার
নিয়ে তার নিজের পোস্টের কারণে সমালোচিত হয়েছেন। একসময় হলিউডের বৈচিত্র্যের
প্রতীক হিসেবে প্রশংসিত হলেও, এখন তার মন্তব্যগুলোর কারণে
অ্যাকাডেমির বাম-ঘেঁষা সদস্যদের বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যদিও তিনি
ক্ষমা চেয়েছেন এবং নিজেকে ‘বর্ণবাদী নন’ বলে দাবি করেছেন।
নেটফ্লিক্স ‘এমিলিয়া
পেরেজ’-এর মাধ্যমে তাদের প্রথম সেরা ছবির অস্কার জেতার আশা
করেছিল, তারা গাসকনকে তাদের প্রচার থেকে বাদ দিয়েছে এবং এই
অভিনেত্রীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে।
নেটফ্লিক্সের ওয়েবসাইটে ‘পুরস্কারের বিবেচনার জন্য’ চলচ্চিত্রটির
প্রচারণামূলক পাতায় সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত জো সালদানার ছবি দেখা গেছে।
‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর ফরাসি পরিচালক জ্যাক অডিয়ার বুধবার তার প্রধান অভিনেত্রীকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি গাসকোনের মূল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোকে ‘ক্ষমার অযোগ্য’ এবং ‘একেবারে ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
গাসকন তার সমালোচকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করে যাওয়ায় তার ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি’ এখন তার কাছের মানুষদের ক্ষতি করছে, যার মধ্যে সালদানা এবং সহ-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজও রয়েছেন।
ফ্রান্সে নির্মিত স্প্যানিশ ভাষার এই
চলচ্চিত্রটি ১৩টি অস্কার, ১১টি বাফটা (ব্রিটেনের
অস্কারের সমতুল্য) এবং ফ্রান্সে ১২টি সিজার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।