
জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা জিতলেন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। আর অ্যাম্বারকে ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার পারিবারিক সহিংসতার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন তা মিথ্যা ও অবমাননাকর। পাশাপাশি জনির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলেও আদালত জানিয়েছে।
তবে ডেপের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের রায় অ্যাম্বারের পক্ষে গেছে। জুরিরা প্রমাণ পেয়েছেন, ডেপের আইনজীবীও অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছেন। এজন্য অ্যাম্বারকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি ডেপ। অভিনেতা মিথ্যা বলছেন দাবি করে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। এই জোড়া মামলার শুনানিতে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি দেখছে আদালত। উত্তাল ছিল দু’পক্ষের অনুরাগী মহলও।
তবে জনির আইনজীবী অ্যাডাম ওয়াল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অ্যাম্বারের আনা সহিংসতার অভিযোগ ‘ধাপ্পাবাজি’ ছাড়া আর কিছু নয়। এই বিবৃতিকেও অবমাননা বলে উল্লেখ করে জনির আইনজীবীকেও বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনদিন ধরে সাত সদস্যের জুরি প্রায় ১৩ ঘণ্টার উপর আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন।
২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়রি’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পীর অভিনয়কালে জনি ডেপের প্রেমে পড়েন অ্যাম্বার হার্ড। ৩০ বছরের অ্যাম্বার ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন ৫২ বছরের জনি ডেপকে। কিন্তু ১৫ মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অ্যাম্বার। টেক্সাসের এই অভিনেত্রী ‘অপরিবর্তনশীল মতবিরোধকে’ কারণ দেখিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের সুপিরিয়র কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন।
২০১৬ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউড তরকা দম্পতি জনি ও অ্যাম্বার। এর প্রায় দুই বছর পর ওয়াশিংটন পোস্টে একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন অ্যাম্বার। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জনি তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অবশ্য ডেপ সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরে সাবেক স্ত্রীর নামে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনি। অ্যাম্বারও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে। সেই মামলারই শেষ হলো এবার।