Logo
×

Follow Us

গৃহসজ্জা

ঈদে ঘরের সাজ

Icon

ফারিহা জান্নাত কুয়াশা

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ২০:৩৩

ঈদে ঘরের সাজ

ঈদ আয়োজনে প্রথমেই ঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি ঈদে আয়োজন, ব্যস্ততা রোজার ঈদের থেকে অনেকটা বেশি-কোরবানির মাংস প্রক্রিয়া করা, সেগুলো বিতরণ করা, রান্নার বিশাল আয়োজন, অতিথি আপ্যায়ন। তাই উৎসবের এই আমেজ আরও ফুটিয়ে তুলতে ঘরের রূপ পাল্টে ফেললে মন্দ হয় না। এজন্য প্রথমেই ঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। ঘর পরিষ্কার মানে ঘরের প্রত্যেকটা জিনিস যেমন-দেয়াল থেকে শুরু করে জানালার গ্রিল, পর্দা, ফ্যান, ফ্লোর টাইল্স, ফ্রিজ-ওভেন সব পরিষ্কার করতে হবে। 

ঘরে তো সবই আছে তারপরও কীভাবে আরেকটু নতুন করা যায়। জিনিসপত্র অদল-বদল করে রাখা যায়। জিনিসপত্র যদি অদল-বদল করা হয় এতে করে ঘরের আকার এবং আয়তন দেখতে অন্যরকম লাগে এবং ঘরকে বেশ নতুন মনে হয়। চাইলে ঘরের রঙ বদলে ফেলতে পারেন। ঘর যদি একেবারেই সাদামাটা হয়ে থাকে, তাহলে দেয়াল রঙিন করে তুলুন। 

এবারও বৃষ্টির আভাস রয়েছে। গরম আর বৃষ্টিময় ঈদে শোবার ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিন হালকা রঙের বিছানার চাদরকে। এ ক্ষেত্রে খাদি, সুতি, ভয়েল কাপড় বেছে নিতে পারেন। বালিশ সাজাতে পারেন উজ্জ্বল রঙের কভারে। খাটের পাশের ছোট টেবিলে ফুলদানিতে তাজা ফুল রাখতে পারেন। একটি রুমের দেয়ালের অনেক অংশ জুড়ে থাকে পর্দা। তাই শুধু যদি পর্দা পাল্টে দেওয়া হয় তবে ঘরটাকেই নতুন মনে হবে। তবে পর্দা না কিনে, এক রুমের পর্দা আরেক রুমে দিয়েও বাসার চেহারায় নতুনত্ব আনা যায়।

অতিথি আপ্যায়নে সবসময়ই বসার ঘরটি পরিপাটি করে রাখতে হয়। যেহেতু বসার ঘর বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই এই ঘরটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। অনেক দিন ঘরের আসবাবগুলো একই জায়গায় থাকলে কিছু জিনিসের ডেকোরেশন বদলে দিন। বসার ঘরের আলোকসজ্জাকে অবশ্যই হতে হবে আধুনিক ও সুন্দর। সোফার কভার এবং কুশন আর জানালার পর্দাগুলো পাল্টে দিন, দেখবেন পুরো বাড়ি ঈদের সাজে নতুন হয়ে উঠবে।

কোরবানির ঈদের মূল আকর্ষণ থাকে ডাইনিং টেবিলে। সেই ডাইনিং টেবিলকে কীভাবে আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা থাকে। ডাইনিং টেবিল সাজানোর মাধ্যমেও রুচির প্রমাণ পাওয়া যায়। সমৃদ্ধ রঙ এবং মার্জিত টেবিলক্লথ, ন্যাপকিন ও রানার ব্যবহার করুন। ফুল, মোমবাতি বা উভয়ের সংমিশ্রণে এগুলো সাজান। প্লেট-গ্লাস, কাপ-পিরিচ, চামচ শো-কেস আর কিচেন কেবিনেট থেকে বের করে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন।

ঈদের মূল আকর্ষণ হলো মজার সব খাবার। আর খাবার তৈরি হয় রান্নাঘরে। তাই ঈদের অন্তত দুদিন আগেই রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। মসলার পাত্রের গায়ে নাম লিখে গুছিয়ে নিন, যেন প্রয়োজনেই হাতের নাগালে পেতে পারেন। আদা-রসুন ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন, পেঁয়াজও আগেই কেটে রাখতে পারেন। বঁটি, ছুরি আগেই ধার দিয়ে আনুন এবং হাতের কাছে রাখুন। কোরবানি ঈদের একটি বড় কাজ মাংস ফ্রিজে রাখা। এজন্য প্রয়োজন হয় পলিথিনের প্যাকেট। এগুলোও আগেই এনে রাখতে হবে।

ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই যদি অতিথিকে চমক দিতে চান, তাহলে করিডরটাকে একটু মনের মতো করে সাজিয়ে নিন। সে ক্ষেত্রে দরজার ঠিক পাশেই রাখতে পারেন মাটির তৈরি শো-পিস ও টেরাকোটা। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫