
পর্দা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য যেন পূর্ণতা পায় না।
পর্দা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য যেন পূর্ণতা পায় না। সাদামাটা একটি ঘর পুরোপুরি বদলে দিতে পারে মানানসই ও সুন্দর পর্দা।
শুধু রোদ থেকে নয়, ধুলাবালি ও ময়লা থেকে রুমকে রক্ষা করে পর্দা। আবার দরজা-জানালার পর্দার সৌন্দর্যের ওপরই ঘরের সৌন্দর্য নির্ভর করে। তাই রুমের সঙ্গে মানানসই পর্দা বাছাই করা জরুরি একটি বিষয়।
পর্দার রং যদি ঘরের দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তখন ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যায়। ঘরকে রঙের ছটায় ফুটিয়ে তুলতে পর্দার বিকল্প নেই। জেনে নেই কোন ঘরে কেমন পর্দা মানানসই।
শোবার রুম: বাসার সবচেয়ে আরামের জায়গা হলো শোবার রুম। যেখানে প্রবেশ করলে সব ক্লান্তি নিমিষেই হারিয়ে যায়। তাই এই রুমের জন্য বেছে নিন হালকা ও স্নিগ্ধ রঙের পর্দা। সে ক্ষেত্রে পর্দা হতে পারে হালকা নীল, গোলাপি, সাদা ও ধূসর রঙের।
বসার রুম: বাসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ হলো বসার রুম, এটাকে ড্রইং রুমও বলা হয়। এ কক্ষের জন্য চাইলে হালকা ও গাঢ় দুই ধরনের পর্দাই ব্যবহার করা যেতে পারে। হালকা হলুদ, নীল, সবুজ ও গোলাপি ছাড়াও ক্রিম, বিস্কুট ইত্যাদি ভিন্নধর্মী কিছু রংও ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরের আসবাবপত্রের ভিড়ে রুমটি যেন অন্ধকার না দেখায় সে জন্য সাদা কিংবা
অফ-হোয়াইট রঙের সিনথেটিক কাপড়ের পর্দা বেছে নেওয়া যেতে পারে। জমকালো আমেজ আনতে পর্দায় ঝালর দিতে পারেন।
শিশুদের কক্ষ: শিশুদের রুম হওয়া চাই পরিপাটি। এই রুমের জন্য উজ্জ্বল রঙের পর্দা বেশ মানানসই। রঙিন ও কার্টুন প্রিন্টেড পর্দা দেখে শিশুরা যেমন খুশি হয়ে যাবে, তেমনি তার সময়গুলোও হবে প্রাণবন্ত।
ডাইনিং রুম: এই রুমের জন্য উজ্জ্বল রঙের পর্দা বেছে নিতে পারেন। সাধারণত খাবার ঘরটি থাকে রান্নাঘরের আশপাশে, তাই এই রুমে গরমও একটু বেশি থাকে। দেওয়ালের রং বুঝে বাদামি, লালচে কমলা, মেরুন কিংবা চকোলেট রঙের প্রিন্টের পর্দা বেছে নিতে পারেন এই রুমের জন্য।
ঘরের রঙের সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে পর্দা। তাই ঘরের আকৃতি এবং দেওয়ালের রঙের ওপর নির্ভর করে ঘরের জন্য পর্দা নির্বাচন করা উত্তম। জানালার চেয়ে কিছুটা বড় পর্দা নিতে পারেন, এতে ঘর বড় দেখাবে। প্রতিটি ঘরের জন্য আলাদা মানানসই পর্দা বেছে নিতে পারেন। এতে বাড়ির পরিবেশই বদলে যাবে।