Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

‘জনগণ আওয়াজ তুলেছে, সরকারকে বিদায় করতে হবে’

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৪০

‘জনগণ আওয়াজ তুলেছে, সরকারকে বিদায় করতে হবে’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ড্যাবের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। জনগণ বলছে- এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ। আমরা সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হয়েও তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশো নেতাকর্মীকে একসাথে গ্রেপ্তার করেছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে। সরকার তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে গেছে। সেজন্য জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। 

তিনি বলেন, আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। সেজন্যই আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ দশ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। আজকে মানুষ মাঠে নেমেছে। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, সফলতা দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে জনগণ বিদায় করবে। অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ, আইয়ুবকে জনগণ বিদায় দিয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় জনগণ সেখানে তাদের স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। তারা বলছে এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। আমরা সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাবো।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মোঃ ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এমএ সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আনোয়ার হোসেন মুকুল, এ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের বিলকিস জাহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে চিকিৎসকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. নিলোফা ইয়াসমিন, ডা. ফকির ওয়ালিদ শাহ, ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. মো. জিয়াউর রহমান, ডা. মো. আবু নাসের, ডা. এরশাদ আহসান সোহেল, ডা. খলিলুর রহমান, ডা. একে আজাদ, ডা. মামুন, ডা. সালাউদ্দিন আল আজাদ সোহাগ, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. সিফাত, ডা. আরাফাত রহমান পাভেল, ডা. মাসুদ রানা, ডা. লাবিদ রহমান প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫