নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই: সমশের মবিন চৌধুরী

আহমেদ সেলিম
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৭

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী। ফাইল ছবি
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির এক সময়ের দাপুটে নেতা প্রয়াত ব্যরিস্টার নাজমুল হুদার হাতেগড়া দল তৃণমূল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। গত সোমবার দলটির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিলে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা—সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত সমশের মবিন চৌধুরী (বীরবিক্রম) ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। সমশের মবিন চৌধুরী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন আর তৈমূর দলটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন সমশের মবিন চৌধুরী। ২০০৭ সালে তিনি অবসরে যান। ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ও নিজের দল নিয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেছেন সমশের মবিন চৌধুরী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ সেলিম।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বে এলেন। প্রতিক্রিয়া কী?
দল আমাকে চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আমি খুবই আনন্দিত। দলের কর্মীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যতটুকু পারি আমি দলের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে লালন করব।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা আলু উৎপাদন করি, আমদানি করি না, অথচ মানুষ আলু কিনতে পারছে না। আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন করি অথচ তা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তৃণমূল বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবে না বিএনপি ঘেঁষে থাকবে? নাকি নিজেরা রাজনীতি করবে?
এমন কিছু হবে না। তৃণমূল বিএনপি নিজেদের রাজনীতি করবে। কারও ঘেঁষা হবে না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আপনাদের ভাবনা কী?
নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
বাংলাদেশকে নিয়ে ভারত-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার চতুর্মুখী তৎপরতাকে কীভাবে দেখছেন?
আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ মাথায় রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই তবে কারও স্বার্থের কাছে আমরা নিজেদের বিসর্জন দেব না। এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই বড় চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে।
দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের গতি-প্রকৃতি কোন দিকে?
দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে আছে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতিটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্য কমে আসছে। তবে মানুষের দৈন্যন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন—পেঁয়াজ, ডিম, আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটা খুবই অদ্ভুত বিষয়। এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা বিশাল দুর্বলতা। আশা করছি সরকার এটা শক্ত হাতে দমন করবে।