Logo
×

Follow Us

সাক্ষাৎকার

দর্শক বড় পর্দায় কীভাবে গ্রহণ করে তার অপেক্ষায় আছি : মিথিলা

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ১৫:৪৬

দর্শক বড় পর্দায় কীভাবে গ্রহণ করে তার অপেক্ষায় আছি : মিথিলা

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সম্প্রতি সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন। কলকাতা ও বাংলাদেশ দু’দেশের সিনেমাতেই সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যস্ততা বেড়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালে চাকরি করছেন। অভিনয়ের সমান দক্ষতায় সামলে চলেছেন ক্যারিয়ারও। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দেশকাল পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক। 

সম্প্রতি শেষ করেছেন অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’ ছবির দৃশ্যধারণের কাজ। অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

এক কথায় দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীর তীরে ছবিটির শুটিং করেছি। প্রায় দশ দিন আমার শুটিং ছিল। ছবিটির কাজ করে অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। আমরা বৃষ্টিতে ভিজেছি। রোদে পুড়েছি। নদীর পাড় এবং নৌকার মধ্যে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে কাজটি শেষ করেছি। সময় পেলেই আড্ডা দিয়েছি, গান করেছি। নদীর পাড়ে হলেও আয়োজন বিশাল ছিল। ছবিতে আমার সহশিল্পীদের সকলেই অভিজ্ঞ ও মেধাবী। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে। কী করে তাদের চেয়েও ভালো অভিনয় করতে পারি সে চেষ্টা ছিল। ক্যারিয়ারের অন্যতম ছবির শুটিং শেষ করলাম বলে মনে হচ্ছে।

আপনার চরিত্র প্রসঙ্গে কিছু জানতে চাই।

ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘তারা’। এ ছবির গল্প একটি নদী ও নারীর। একটি শিশু নারী হয়ে ওঠার সময়ে যেসব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় তাই উঠে এসেছে এখানে। বলা যায়, নারীর নিষ্পেষিত হওয়ার গল্প ‘তারা’। ছবির গল্পটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘কেরায়া’ থেকে অনুপ্রাণিত। যদিও সেখানে এই চরিত্রটি ছিল না; কাহিনীটিও আলাদা। ‘তারা’ গ্রামের একটি চরিত্র হলেও তাতে বিভিন্ন রকম শেড আছে। পুরোটা বলা যাবে না। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে দেখবে।

নারীপ্রধান গল্প বলেই কি ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হলেন?

বিষয়টি আসলে ঠিক তা নয়। ছবির গল্পটিই আমাকে টেনেছে। বেশ ভালো লেগেছে। একজন নারী কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে কাজ করার ইচ্ছে আরও বেড়েছে। এ চরিত্রে অভিনয়ের জায়গা ছিল প্রচুর। আমার কাছে মনে হয়েছে এ চরিত্রের মাধ্যমে নতুন এক মিথিলাকে দেখবে দর্শক।

নির্মাতা অরুণ চৌধুরীকে কেমন দেখলেন?

অরুণদার ইউনিটের সঙ্গে কাজ করে তৃপ্তি পেয়েছি। বেশ গোছানো কাজ করেন তিনি। আগে থেকে প্রস্তুতি থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেন। মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে তার সঙ্গে কাজ করে।

সাধারণত অনুদানের ছবির বাণিজ্যিক আবেদন কম থাকে। ‘জলে জ্বলে তারা’র ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কি ঠিক?

এটা সত্যি অনুদানের ছবি উৎসবকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়। তবে ইদানীং দর্শক এ জাতীয় ছবিও দেখছে। তাই এমন ছবির বাণিজ্যিক আবেদন একদম কম বলা ঠিক না। ‘জলে জ্বলে তারা’র দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ করে মনে হয়েছে এ ছবিটি পুরস্কার পেতে পারে। পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহের দর্শকও ছবিটি দেখে আনন্দ পাবেন।

 প্রায় দেড় দশকের ক্যারিয়ার আপনার। এতদিন পর এসে সিনেমায় কাজ করছেন। দেরী হয়ে গেল না?

আমি মনে করি প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। ক্যারিয়ারের শুরুতে সিনেমায় কাজ করলে এখন যেসব চরিত্র পাচ্ছি সেসব হয়তো পেতাম না। তা ছাড়া আমি ফুল টাইম চাকরি করি। ইচ্ছে করলেই সব কাজ করা যায় না। যখন যে কাজের সুযোগ আসে তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। সিনেমায় দেরী হয়ে গেল এমনটি মনে হয় না। 

কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের সিনেমার কী পার্থক্য দেখছেন?

সাম্প্রতিক সময়ে উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই ভালো কাজ হচ্ছে। গল্প নিয়ে ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কলকাতায় সাহিত্যনির্ভর থ্রিলার গল্পের কাজ করার প্রবণতা বেশি। আমাদের দেশেও ইউনিক কাজ হচ্ছে। নির্মাতারা প্যাটার্নের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। যেমন মহানগর, তাকদীর ইত্যাদি। একটি কথা না বললেই নয়, কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি কারিগরিভাবে অনেক এগিয়ে। আমাদের পর্যাপ্ত মেধা থাকলেও টেকনিক্যাল জায়গায় পিছিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হলে মানসম্পন্ন কাজ করা কঠিন। 

সিনেমায় নিয়মিত কাজ করবেন?

অবশ্যই। গল্প ও চরিত্র যদি পছন্দ হয় তাহলে কাজ করতে কোনো আপত্তি নেই। তবে আমার চাকরিতে দেওয়া সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করতে হবে। শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও কাজ করব। আর নাটকের কাজ এর ফাঁকে হবে। শর্ত একটাই, অভিনয়ের জায়গা থাকতে হবে।

কলকাতায় একের পর এক ছবিতে যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশের ছবিতেও আপনাকে দেখার অপেক্ষায় দর্শক ...

সিনেমায় কাজ শুরু করেছি মাস ছয়েক। এর মধ্যেই প্রচুর কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। প্রতিটির গল্প ও চরিত্র ভিন্ন। সব ছবিতে কাজ করা সম্ভব নয়। বেছে বেছে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। রাজর্ষি দে’র ‘মায়া’ ও অরুণাভ খাসনবিশের ‘নীতিশাস্ত্র’ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। একটির সঙ্গে অন্য ছবির চরিত্রের মিল নেই। শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’ অনুপ্রেরণায় ‘মায়া’ নির্মাণ করেছেন রাজর্ষি দে। ধর্ষিতা হওয়ার পরে এক সংখ্যালঘু নারী কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, অল্টার ইগো রূপে পুরুষতন্ত্রের শিকল ছেঁড়ার প্রেরণা জোগায় অন্য নারীদের-সেই গল্পই উঠে আসবে ‘মায়া’য়। রিঙ্গো ব্যানার্জির ‘অ্যা রিভার ইন হ্যাভেন’ এর দৃশ্য ধারণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আরও কয়েকটি ছবির ব্যাপারে কথা চলছে। এর মধ্যে একটি ছবিতে প্রসেনজিৎ থাকার কথা। এখন ভ্রমণ কম করার কারণে একাধিক ছবিতে কাজ করতে পারছি। কাজের চাপ বাড়লে এতগুলো ছবিতে কাজ করা সম্ভব হবে না। তখন আরও সিলেক্টিভ হয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ ছবিতে কাজ করলাম। এই চরিত্রটিও চমৎকার। আর অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’র কাজও তো শেষ হল। বাংলাদেশের দুটি ছবির চরিত্রই আলাদা। দর্শক আমাকে পর্দায় কীভাবে গ্রহণ করে তা এখন দেখতে হবে। 

আপনি নাচ ও গানে সমান পারদর্শী। এসব নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?

আমি শখের গায়িকা। মাঝে মধ্যে গিটার বাজিয়ে গাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করি। অভিনয় নিয়েই কোনো পরিকল্পনা থাকে না। সেখানে গান নিয়ে পরিকল্পনার প্রশ্নই আসে না। অন্যদিকে কত্থক, ভারতনাট্যম, মনিপুরী এসব নাচ শিখেছি। তথাকথিত বাণিজ্যিক নাচ করতে পারব না। তবে অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ ছবিতে হালকা নেচেছি। অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’ ছবিতেও নাচের দৃশ্য আছে।

আপনাকে প্রায়ই উপস্থাপনা করতে দেখা যায়। ফের কবে দেখা যাবে সঞ্চালকের ভূমিকায়?

আমি উপস্থাপক নই। বাংলাভিশনে ‘আমার আমি’ উপস্থাপনা করতাম। এখন করছি না। মাঝে ভার্চুয়াল একটি শোও উপস্থাপনা করেছি। আমি স্ক্রিপ্টেড উপস্থাপনা পারি না। আমার কাছে সঞ্চালনা অনেকটা আড্ডার মতো। নিয়মিত উপস্থাপনা করা হবে না। তবে ভবিষ্যতে যদি অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যাপার পছন্দ হয় তাহলে উপস্থাপনায় দেখা যেতেও পারে।

কলকাতায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

চমৎকার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তারা খুব সহজেই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। মনেই হয়নি অন্য দেশে অভিনয় করছি। কাজ শেষে আমরা আড্ডা দিই। ওখানে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় লাগে না। সহশিল্পীরা যথেষ্ট সহযোগিতা করেন।

ইউটিউব ভিউ নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যায় অনেক দর্শককে। ‘ভিউ’র ওপর ভিত্তি করে একটি নাটকের মান যাচাই করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

ইউটিউব ‘ভিউ’ দিয়ে কাজের মান বিচার করা ঠিক নয়। সব কনটেন্ট সবার জন্য নয়। ‘ভিউ’ একটি সাময়িক প্রক্রিয়া। সে কাজগুলোই যুগে যুগে টিকে থাকবে যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা সার্বজনীন।

এখন নাটকের মান কেমন দেখছেন?

মাত্র দুই দিনে নাটকের কাজ শেষ করতে হয়। শিল্পীসহ সকলেই অনেক চাপে থাকে। একটার পর একটা দৃশ্য ধারণের কাজ করতে হয়। একটি দৃশ্য শেষ না হতেই পরের দৃশ্যের জন্য তৈরি হতে হয়। এতে করে কাজের মান কমে যায়। ভাবনার জায়গা কমে যায়। এ জন্য নাটকের মান আগের মতো নেই। বাজেট বাড়লে বেশি সময় নিয়ে কাজের সুযোগ থাকে। তখন সবাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আগে সময় নিয়ে কাজ করা হতো। তখন একটি চরিত্র নিয়ে আলোচনা করার সময় ও সুযোগ পেতেন সংশ্লিষ্ট শিল্পী। অভিনয়ের প্রস্তুতিও হয়ে যেত চমৎকারভাবে।

আমাদের শোবিজে ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মের কী প্রভাব দেখছেন?

নাটকের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেটা ওটিটিতে নেই। এ প্ল্যাটফর্মের ফলে নির্মাতাদের কাজের স্বাধীনতা বেড়েছে। নতুন নির্মাতারা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। শিল্পীদেরও কাজ বেড়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এ যুগের চাহিদা। আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। 

আপনাকেও কয়েকটি ওটিটি ফিকশনে দেখা গেছে। বাইরের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য কোথায়?

আমাদের দেশে ওটিটিতে বেশ ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আমি নিজেই জি ফাইভের ‘কন্ট্রাক্ট’, হইচইয়ের ‘একাত্তর’, চরকির ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজে কাজ করেছি। দর্শক বিনোদনের জন্য এ মাধ্যমে ঝুঁকে পড়ছে। পর্যাপ্ত অর্থ লগ্নি করা হচ্ছে। কাজ করে আমার ভালো লেগেছে। নাটকে যেসব গল্প বলা যায় না সেসব গল্প ওয়েব প্ল্যাটফর্মে বলা যাচ্ছে। বড় ক্যানভাসের গল্পে ওয়েব ফিল্ম কিংবা ওয়েব সিরিজ করা হচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্মে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমার মনে হয় বাইরের প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশের বাজার যাচাই করছে। তারা দর্শকের রুচি বোঝার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে কয়েকটি কাজ হিট হচ্ছে। তারা বাহবা পাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শক বোঝে। সে অনুযায়ী তারা কনটেন্ট বানাচ্ছে। যেমন চরকি, বিঞ্জ ইত্যাদি বেশ ভালো কাজ করছে। দর্শকও তাদের কাজ পছন্দ করছে।

আপনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের প্রধান। বিভিন্ন দেশে ছুটে বেড়াতে হয়। পিএইচডি গবেষণাও চলছে। পাশাপাশি অভিনয় করতে হয়। সব কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে চরিত্র নিয়ে প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হয় না?

গেল ১৪ বছর ধরে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করেছি। প্রোগ্রামটির প্রধান বলে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রোগ্রাম প্ল্যান ও ডিজাইন থেকে শুরু করে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে আমাকে প্রায়ই ভ্রমণ করতে হয়। সেসব দেশে আমাদের প্রজেক্ট চলে। শিশুদের নিয়ে কাজ করি বলে সেখানে অনেক মানুষ জড়িত থাকে। তাই কাজের চাপ সবসময়ই বেশি থাকে। কখনো ভাবিনি এসব সামলে সিনেমায় কাজ করতে পারব। হোম অফিস চলার কারণে তা সম্ভবপর হয়েছে। শুটিংয়ের মাঝেও আমি অফিসের মিটিং এটেন্ড করি। আগে ভাবতাম সিনেমার শুটিংয়ে অনেক দিন সময় লাগে। কাজ করতে এসে দেখি এত সময় লাগে না। ১৫-২০ দিনে একটি সিনেমার কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার পর বাংলাদেশেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজের চাপে হয়তো পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয় না, তবে কাজের ব্যাপারে আমি শতভাগ সৎ। যে সময় পাই, সে সময়কে কাজে লাগাই। একটি চরিত্রকে ধারণ করতে চেষ্টার কমতি থাকে না কখনো।

বইমেলায় আপনার বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইমেলা নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন?

গত বইমেলায় শিশুতোষ বই ‘আইরা আর মায়ের অভিযান’ এসেছিল। এটি একটি ধারাবাহিক। তার দ্বিতীয় পর্ব আগামী বইমেলায় প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলছে। প্রথম পর্ব শিশুদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আশা করছি এ পর্বটিও তাদের পছন্দ হবে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫