Logo
×

Follow Us

সাক্ষাৎকার

পরিচালনা এবং সমালোচনার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য করি না: গদার

Icon

আহমেদ ইশতিয়াক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৭

পরিচালনা এবং সমালোচনার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য করি না: গদার

জঁ-ল্যুক গদার। ছবি: সংগৃহীত

গত শতকের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রকার জঁ-ল্যুক গদার প্রয়াত হয়েছেন সম্প্রতি। মৃত্যুর আগে প্রায় সাতটা দশক তিনি কাটিয়েছেন সিনেমার সাথে; করেছেন নিত্য-নতুন সব এক্সপেরিমেন্ট, একের পর এক ভেঙেছেন চলচ্চিত্রের নীরস সব ব্যাকরণ। ফরাসি নব কল্লোল চলচ্চিত্র আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল মূলত গদারের হাত ধরেই।

চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবেও গদার ছিলেন তুমুল আলোচিত-সমালোচিত এক ব্যক্তিত্ব। নির্মাণের মাধ্যমেই চলচ্চিত্রের সমালোচনা করতেন তিনি। বলতেন, ‘আই মেক ফিল্ম লাইক আ ক্রিটিক্যাল অ্যাসেট!’ কারও মুখাপেক্ষী না থেকে সারাটা জীবন তিনি কাজ করে গেছেন সম্পূর্ণ নিজের মতো করে, অকপটে প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার যাবতীয় ভাবনা-চিন্তা। ১৯৯৬ সালে ‘ফিল্ম কমেন্ট’-এর মার্চ-এপ্রিল সংখ্যায় গ্যাভিন স্মিথকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারটিতে গদারের সমালোচক-সত্তা ফুটে উঠেছে অনেকটাই। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ ভাষান্তর করেছেন- আহমেদ ইশতিয়াক।

‘হিস্টোর দি সিনেমা’র শুরু থেকেই আপনি যে চলচ্চিত্রগুলো তৈরি করেছেন, সেগুলো আপনার আগের যেকোনো কাজের চাইতে বেশি সংবেদনশীল। এগুলোর প্রত্যেকটাতেই সিনেমার সাথে সমঝোতা করার একটা চেষ্টা আছে বলে মনে হয়। 

হ্যাঁ, আমিও তা-ই মনে করি। পিকাসোর একটি কথা আমাকে বেশ ভাবায়, ‘কোনো একটা পেইন্টিং যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাকে ছুড়ে ফেলে দেয়, আমি ততক্ষণই সেটা আঁকি।’ আমি মনে করি অন্তত আরও কয়েকটা ফিল্ম, আরও কয়েকটা দশক পর্যন্ত সিনেমার জগৎটা আমাকে ছুড়ে ফেলে দেবে না, আর এ কারণেই আমার এই সমঝোতা। এমন না যে, আমি যা চাই, তা-ই হয়; কারণ আমি কী চাই তা আমি নিজেও জানি না। বরং আমি ততটুকুই চাই, যতটুকু আমার আয়ত্তের মধ্যে আছে। বেশি কিছুর আশা না করে সাধ্যানুযায়ী নিজের ভালোলাগার কাজ করে যেতে হবে- এই চিন্তাটাই তো অনেক প্রশান্তির। আমার কোনো ছবি ভালো না হলেও এখন আর মেজাজ খারাপ লাগে না। ছবিটা এমন হওয়া উচিত ছিল বা অমন হওয়া উচিত ছিল- এসব ভেবে মাথা গরম না করে নিজের মতো কাজ করে যাওয়াটাই আসলে উচিত।

তা-ও, আপনার চলচ্চিত্র-নির্মাণের ধারাটা সবসময়ই একধরনের কাউন্টার-সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করে।

আজকাল এসব নিয়ে আর ভাবি না। আমি যখন বড় কোনো চলচ্চিত্র বানাই, তখন আমি এই চিন্তা করি না যে, এটা এই বা ওই ধরনের হলিউডি-ফরাসি ছবির বিপক্ষে যাবে। ছবিটা শুধু তা-ই হবে, যা আমি বানাচ্ছি। নিশ্চিতভাবেই আমি বিরোধীপক্ষের একজন, তবে এই পুরো ব্যাপারটার ব্যাপ্তি যথেষ্টই বিশাল।

সিনেমার ক্ষেত্রে যদি বলি, সমালোচকের ভূমিকাসহ পুরো ক্যারিয়ারে আপনাকে একজন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায়... 

পরিচালনা এবং সমালোচনার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য করি না। চলচ্চিত্রনির্মাণের একটা অংশ হিসেবেই আমি ছবি দেখা শুরু করি। হাল হার্টলির শেষ ছবিটাও চলচ্চিত্রনির্মাণের অংশ হিসেবেই দেখতে যাব, যদি যাই আর কী। এই দুয়ের মধ্যে সত্যিই কোনো পার্থক্য নেই। আমি নিজেই যেহেতু চলচ্চিত্র নির্মাণ-প্রক্রিয়ার অংশ, তাই আমাকে চোখ-কান খোলা রাখতেই হয়। পৃথিবীকে দেখাতে হলে আমেরিকান ছবিগুলোও দেখতে হয়, যদিও আমেরিকান ছবি প্রতিবছরে একটা দেখাই যথেষ্ট, কারণ ছবিগুলো কমবেশি সব প্রায় একই রকম।

চলচ্চিত্র নির্মাণকে কি আপনার কাছে ইউটোপিয়ান কার্যকলাপ বলে মনে হয়?

যেভাবে আমি ভাবি, তাতে চলচ্চিত্রের ইউটোপিয়াই হয়ে ওঠা উচিত; কিন্তু চলচ্চিত্রনির্মাণ, চলচ্চিত্র বানানোর যে প্রক্রিয়া তা ইউটোপিয়া না। 

‘জার্মানি ইয়ার নাইনটি নাইন জিরো’ ‘হিস্টোর দি সিনেমা’-তে আপনি সিনেমাকে একটি পতিত মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেছেন?

হ্যাঁ, আমি এমনটাই মনে করি।

এই পতনের কারণ?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তৎকালীন সুপরিচিত ও শক্তিশালী ফরাসি চলচ্চিত্রগুলোকে পেছনে ফেলবার একটা সুযোগ আমেরিকানদের ছিল। প্যাথে, গাউম, মেলিস; ম্যাক্স লিন্ডার ছিলেন তখনকার বড় তারকা। ফরাসিদের যুদ্ধ-পরবর্তী দুর্বলতার সুযোগে আমেরিকানদের পক্ষে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় সিনেমাতে ঢুকে পড়ার একটা রাস্তা তৈরি হয়েছিল তখন। তাছাড়া জার্মান চলচ্চিত্রের সাথে তাদের যোগসূত্র ছিল। বলতে গেলে হলিউডের অর্ধেকই তো ছিল জার্মানদের দখলে। ইউনিভার্সাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কার্ল ল্যামেল। নরম্যান্ডির সৈকত আক্রমণ- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল নিশ্চিতভাবেই ইউরোপকে দখল করার একটা উপায়। এখনকার রাজনীতিতে দেখা যায় যে মার্কিন সরকারের সাহায্য ছাড়া ইউরোপ চলতেই পারে না। এমনকি চলচ্চিত্রেও দেখা যায়, আমেরিকা পুরো পৃথিবীর হর্তাকর্তা হয়ে বসে আছে। সুতরাং বলা যায় সমস্ত গণতান্ত্রিক ধারণাগুলো হারিয়ে গেছে। আমি পরবর্তী (Histiore(s) du cinema) ‘হিস্টোর দি সিনেমা’তে কাজ করব কনসেনট্রেশন ক্যাম্প নিয়ে, যেটা আগে কখনোই কোনো চলচ্চিত্রে দেখানো হয়নি।

এই প্রসঙ্গে ‘শিন্ডলারর্স লিস্ট’ (Schindler’s List) আপনার কাছে কেমন লাগে?

কোনো রকমই লাগে না। ছবিটাতে কিছুই নেই, এমনকি সেই ইন্টারেস্টিং জার্মান, শিন্ডলারের গল্পটাও না। মূল গল্পটা আসলে বলাই হয়নি। এক কথায় ছবিটাকে জগাখিচুড়ি বলা যায়।

আপনার কি মনে হয় যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে ইতালিয়ান নিওরিয়ালিজম এবং ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ প্রতিনিধিত্ব করেছিল?

না, ওগুলো ছিল সর্বশেষ বিদ্রোহ। আমরা যেটাকে আভাঁগার্দ বলি, সেটা ছিল আসলে রিয়ারগার্ড।

আপনি কি বলতে চাইছেন, ফ্রান্সে ষাটের দশকে আপনাদের সিনেমা আমেরিকান আধিপত্যের অধীন ছিল?

না, তেমনটা না। কারণ এই সময়ে আমরা কিছু আমেরিকান সিনেমার পক্ষে তর্ক-বিতর্ক করতাম। আমরা উইলিয়াম ওয়াইলার বা জর্জ স্টিভেন্সের চেয়ে স্যামুয়েল ফুলার বা বাড বোয়েটিচারকেই পছন্দ করতাম। আমাদের, অন্তত রিভেতে আর আমার এই ইচ্ছেটা ছিল যে, বড় পরিসরে আমরা একটা সংগীতচিত্র বানাব। এই সম্ভাবনা এখনো আছে কিন্তু! আমরা বলতাম, হিচকক কেবলমাত্র রহস্যগল্পের পরিচালকই নন, তিনি একজন দুর্দান্ত চিত্রশিল্পী এবং ঔপন্যাসিকও, আর তাই ব্যাপারটা আরও গণতান্ত্রিক ছিল; কিন্তু এ সবই ছিল ইউটোপিয়ার মতো, কারণ সত্যিকার অর্থে সামগ্রিক পরিস্থিতি সঠিকভাবে বোঝার ক্ষেত্রে আমরা ছিলাম নিতান্তই তরুণ। আমি আজ এই কথা বলতে পারছি, কারণ হয়তো একমাত্র আমার একার দৃষ্টিভঙ্গিই এরকম। ইতিহাস পড়া এবং বোঝার জন্য আমি চোখ এবং কান- দুটোই ব্যবহার করি, যেখানে অন্য লোকেরা পড়ার জন্য শুধু তাদের চোখই ব্যবহার করে।

‘হিস্টোর দি সিনেমা’-র দ্বিতীয় কিস্তিতে আপনি বলেছেন, ‘প্রযুক্তি পুনর্গঠন করতে চায় এবং জীবনের প্রাণসত্তাকে বিনাশ করে দেয়।’ এর মানে কী?

আমাদের এই সত্যটি বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত- আবিষ্কারের শুরু থেকেই ফটোগ্রাফির ব্যাপারটা রঙিন হতে পারত। এটা সম্ভবও ছিল। তা না হয়ে বরং এটি দীর্ঘকাল যাবৎ সাদকালো হয়েই রইল। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইউরোপীয় ও পশ্চিমাবিশ্বে শোকের রঙ হচ্ছে কালো। সুতরাং আমরা প্রকৃতি থেকে তার পরিচয়টিকে কেড়ে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে তাকে ধ্বংস করছিলাম-

সাদাকালো ফটোগ্রাফ তুলে?

কেবল ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা এমন একটা ভান করছিলাম যে, পাসপোর্টে থাকা ছবিটাই হচ্ছে সেই ব্যক্তির পরিচয়! অথচ সেটা কেবলই একটা ছবি, ব্যক্তির পরিচয় নয়। পরে পেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় পরিবর্তন আসে, তথাকথিত বাস্তবতার আরও বেশি বাস্তব ছবি আঁকা শুরু হয়, আরও বিশদভাবে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রকৃতির প্রাণসত্তাকে কেড়ে নিচ্ছিলাম, আর যেহেতু সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ছিলই, তাই সাদাকালোতেই সব হচ্ছিল- শোকের রঙে। আমি আবারও বলছি, টেকনিকালার- শুরু থেকে আজ অবধি- আসল ফুলের রঙের মতো কিছু না, বরং তা শবযাত্রার ফুলের মতো।

১৯৭৯ সালে আপনার সিনেমায় ফিরে আসার পর থেকেই চলচ্চিত্রিক সৌন্দর্যের ওপর নতুন করে জোর দিয়েছেন। মনে হচ্ছে আপনি ব্যাপারটাকে চলচ্চিত্রের রহস্যের ধারণার সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত করেছেন।

হ্যাঁ। সিনেমায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো রহস্য থাকে না, এমনকি সৌন্দর্যও না- থাকে কেবল মেকআপ। ‘শিন্ডলারর্স লিস্ট’ রিয়েলিটি তৈরি করার একটা ভালো উদাহরণ। এটাই ম্যাক্স ফ্যাক্টর, এর রঙের স্টক বর্ণনা করা হয়েছে কালো এবং সাদায়, কারণ ল্যাবগুলো সত্যিকারের কালো এবং সাদা তৈরি করতে পারে না। স্পিলবার্গ ভেবেছেন রঙিন কিছুর চাইতে চেয়ে সাদাকালোই বুঝি বেশি সিরিয়াস। আপনি আজও সাদাকালো সিনেমা বানাতে পারেন; কিন্তু ব্যাপারটা একটু কঠিন। তাছাড়া সাদাকালো সিনেমার খরচ রঙিনের চেয়ে বেশি। সুতরাং তিনি সিস্টেমের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন- এটা একটা ভুল চিন্তা। তার নিজের কাছে ব্যাপারটা ভুল কিছু না, আমি মনে করি তিনি নিজের প্রতি সৎ, তবে তিনি খুব একটা বুদ্ধিমান না হওয়াতে ফলাফলটা হয়েছে ফালতু। আমি একটি তথ্যচিত্র দেখছি, যেটা খুব ভালো কিছু না, তবে শিন্ডলার লোকটা সম্পর্কে অনেকটাই জানা গেছে। স্পিলবার্গ শিন্ডলারের গল্প এবং ইহুদি ট্র্যাজেডিকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যেন তা এক বিশাল অর্কেস্ট্রা- একটা সহজ গল্প থেকে স্টেরিওফোনিক আওয়াজ তৈরি করছে!

আচ্ছা, তিনি ঐতিহাসিক ফ্যাক্টগুলো বলেননি...

তার সেই ক্ষমতাই নেই। হলিউডেরও নেই। আসলে ব্যাপার হচ্ছে, নিজের মনমতো ছবি বানানোর সক্ষমতা আমারও নেই। আমি আমার লক্ষ্যের অনেকটা কাছাকাছি যেতে পারি মাত্র। স্পিলবার্গ একজন নিয়মনিষ্ঠ পরিচালকের মতো করে ‘শিন্ডলারর্স লিস্ট’ বানাতে পারবেন না। বরং প্রতিভাবান নন, যেমন উইলিয়াম ওয়াইলারের মতো পরিচালক, যিনি যুদ্ধের ঠিক পরে ‘দ্য বেস্ট ইয়ারস অব আওয়ার লাইভস’  (The Best Years of Our Lives) তৈরি করেছিলেন। ছবিটা দেখলে আপনি এই ভেবে অবাক হবেন যে হলিউডের কিছু সৎ লোক এবং ভালো কারিগর অন্তত কিছু মানুষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন! ওয়াইলারের ছবি তেমন কিছু না হলেও, তিনি তার ক্ষমতার শতভাগই ব্যবহার করেছেন। এমনটা এখন আর দেখা যায় না। একশ গজের দৌড় উইলিয়াম শেষ করতে পারবেন বারো সেকেন্ডের মধ্যেই; কিন্তু এই একই দৌড় শেষ করতে স্পিলবার্গের লাগবে দুই মিনিট। 

‘হেলাস ফার মও’ (Helas pour moi)-এর একটি প্রধান বিষয়- সভ্যতার উন্নতিতে ন্যারেটিভ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সত্য এবং তথ্যের ধারক-বাহক হিসেবে তেমন কার্যকর না। 

‘হেলাস ফার মও’-তে এই মিসটাই আমি করেছি; কিন্তু আমি যেহেতু স্পিলবার্গের চেয়ে কিছুটা ভালো, ছবিটাও ভালো হয়েছে; কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে এটা সফল হয়নি। আমি পয়েন্টটা মিস করে গেছি। ছবির শেষটা হয় শুরুর চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। 

সাক্ষীদের সাক্ষাৎকার দিয়ে ন্যারেটিভের পুনর্গঠন করতে থাকা তদন্তকারীর চরিত্রটি আমাকে ওয়েলসের ‘মিস্টার আর্কাদিন’ (Mr. Arkadin)-এর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

হ্যাঁ, ‘মিস্টার আর্কাদিন’-এর কথা আমার মনে আছে। আর এই নিয়ে আমি ভেবেছিও। তদন্তকারী চরিত্রটা অর্ধেক সম্পাদনা করে ফেলার পর যোগ করা হয়েছিল, তা না-হলে কাহিনিটা ধরে রাখা যেত না। এটা একটা ভালো চলচ্চিত্র; কিন্তু তা হতে পারত... আমার ছবিটার উদ্দেশ্য এটা ছিল না। ‘মিস্টার আর্কাদিন’ ছবিতেই সেই উদ্দেশ্য ছিল। আমারটা ভালো ছবি-এই কথাটি আমি এ কারণেই বলছি, অরসন ওয়েলস, যদি সেই সময় তার ৮০ শতাংশের বেশি কাজ করার উপায় না-ও থাকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা ছবিরই অংশ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫