
ইভো মোরালেস। ফাইল ছবি
ইভো মোরালেস বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করার পর মেক্সিকোর রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে তিনি গত রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এক টুইটে মোরালেস বলেছেন, বলিভিয়া ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আরো ‘বল ও শক্তি’ নিয়ে তিনি ফিরে আসবেন।
মোরালেস মেক্সিকোর সরকারি একটি বিমানে উঠেছেন বলে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মোরালেসের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল। মেক্সিকো তাঁকে আশ্রয় দিয়ে নির্বাসিত ব্যক্তিদের আশ্রয় দেয়ার পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখলো।
শাসক দলের জোট থেকে রবিবার অন্য দলগুলো সরে যাওয়ার পর মোরালেসের সরকার ভেঙে পড়ে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মোরালেসকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
এরপর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে মোরালেস পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি ‘অভ্যুত্থানের’ শিকার এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার কোনো দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকা নেতার বিদায় ঘটল। ২০০৬ সাল থেকে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইভো মোরালেস বলিভিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য।
মোরালেসের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্থিয়া, সিনেটের নেতা আদ্রিয়ানা সালভাতিয়ারা ও হাউস অব ডেপুটিসের নেতা ভিক্টর বোর্দাও পদত্যাগ করেন। এতে বলিভিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে লাইনে থাকা পরবর্তী নেতা সিনেটের ডেপুটি প্রধান জেনাইন আনিয়েজ নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে মোরালেসের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষরত পুলিশকে সমর্থন দেয়ার জন্য সৈন্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বলিভিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল উইলিয়ামস কালিমান। সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। -বিবিসি