ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করতে আলোচনা চলছে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ২৩:২৭
-6410ae701c93d.jpg)
মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করতে আলোচনা চলছে, পাশাপাশি সেখানে সব পক্ষের কথা শোনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে নাগরিক সমাজের পক্ষে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইনটি মূলত সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করা হয়েছে, সেখানেই আমরা থাকতে চাই। তবে আইনটি যেন আরও ভালো করা যায়, যে সমালোচনা হচ্ছে, তা যেন দূর করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা) তাদের প্রস্তাবনার আলোকে যুক্তি পেশ করেছেন।
আনিসুল হক বলেন, আইনে যেসব সমস্যা আছে, তা দূর করার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনের কোনটা কোনটা পরিবর্তন দরকার এবং কোনটা কোনটা সঠিক আছে, সেটা আমরা আজকের সভায় তুলে ধরিনি। আজ সময় পাইনি।
আগামী ৩০ মার্চ আবার এ আইন নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে আলাপ করার কথা ছিল। একটা ডিজিটাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, আরেকটা ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট।
ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের একটা নতুন ড্রাফট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ ওয়েবসাইটে ড্রাফট আপলোড করা হয়েছে। তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা) সেটা দেখে আসেননি। সে কারণে এ সিদ্ধান্ত পৌঁছেছি ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল বসব। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি আগের মিটিংয়ে যেসব সাজেশন দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকগুলোই সেখানে কনসিডারেশন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে নাগরিক সমাজের অবস্থানের কথা তুলে ধরে আইনটি বাতিলের দাবি জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ নাগরিকদের বড় ধরনের উদ্বেগ আছে। আইনমন্ত্রীও তার আলোচনায় বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে এটির অব্যবহার হয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের অবস্থান হলো আইনটি বাতিল করা দরকার। এর বিকল্প নেই।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মৌলিক যে ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং উদ্বেগের জায়গা আছে এবং অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি এটিকে ঢেলেও সাজালেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।