Logo
×

Follow Us

আইন-আদালত

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের হাতাহাতি-ডিম নিক্ষেপ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:১৯

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের হাতাহাতি-ডিম নিক্ষেপ

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এদিন দুপুরে শতাধিক সরকারসমর্থক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। তারা সমিতি ভবন এবং নিচতলায় অডিটোরিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন। অপরদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরাও সমিতি ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে কয়েকশ’ আইনজীবী বিক্ষোভ করেন।

তারা ‘ভোট চোর’ ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দেন। অপরদিকে সরকার সমর্থক শতাধিক আইনজীবী পাল্টা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে আদালত অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে দুইপক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজ ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে সকল আইনজীবী অবস্থান নিয়েছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে গোলযোগ সৃষ্ট করেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছে। এদের বিচার করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে ঘৃণা ছড়াতে হবে এবং প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। এই অবৈধ ভোট ডাকাতরা সুপ্রিম কোর্টের পবিত্র জায়গায় ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এডহক কমিটি হয়েছে, এই কমিটিই সমিতির বৈধ কমিটি। এই কমিটি কাজ করবে। আইনজীবী সবাইকে অনুরোধ করছি এডহক কমিটিকে সহযোগিতা করুন।

আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগানের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনের সামনে নবগঠিত এডহক কমিটি মতবিনিময় করেন। কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, দুপুর ২টায় আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় করার কথা ছিল। কিন্তু তারা চর দখলের মতো চারিদিকে তালা মেরে রেখেছে। তালা মারা থাকায় আমরা মিলনায়তনের সামনেই মতবিনিময় করছি।

মহসিন রশিদ আরও বলেন, আমরা বেলা ১১টায় বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছি। উনাকে আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, এই অনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে আপনি কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে কোনোভাবেই তাদের আপনি গ্রহণ করবেন না। আমরা সুপ্রিম কোর্ট বারের অফিসকেও জানিয়ে দিয়েছি। শুধু আমাদের আদেশই মানবেন। অন্যকোনো আদেশ চলবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। আমার নেতৃত্বে গঠিত সমিতির এডহক কমিটিই সম্পূর্ণ বৈধ। তারা সমিতির ডিগনিটি নষ্ট করেছে।

এসময় এডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল, কমিটির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ সমিতির সাধারণ সদস্যদের এক তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোল, হামলা, ভাঙচুর, মামলা, সাংবাদিক পেটানো, প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন।

১৪টি পদের সবকটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা ভোট দেয়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫