-64638d33595ad.jpg)
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে পুলিশের অবস্থান। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে এবং পুরো প্রাঙ্গনজুড়ে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করেছে দুই পক্ষের আইনজীবীরা। এতে বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, দুপুর একটার কিছু পরে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ভবনের দোতলায় সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে সরকারপন্থী আইনজীবীরাও অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে দোতলায় সমিতির ১ নম্বর হল অতিক্রমের সময় কয়েকজন আইনজীবী সম্পাদকের কক্ষের জানালায় নির্বিচারে ভাঙচুর করেন। এ সময় সরকারপন্থী কয়েকজন আইনজীবী প্রতিহত করতে গেলে তাদের মারধর করা হয়।
তারা বলেন, বিএনপিপন্থীদের আক্রমণে নজরুল ইসলাম প্রামাণিক নামে এক আইনজীবী চোখে গুরুতর আঘাত পান।
এ ছাড়া বিল্লাল হোসেন লিজন পাটোয়ারি নামে এক আইনজীবীসহ কয়েকজন নারী আইনজীবী মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন সরকারপন্থী আইনজীবীরা।
পরে ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল, একই সংগঠনের সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারে অচলাবস্থা চলছে। তারা নিজেদের মতো করে নির্বাচন করে আইনজীবীদের সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
পরে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কায়সার কামালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আমাদের কয়েকজন আইনজীবীকে আহত করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য এখন বার নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এ ঘটনায় আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।