
হাইকোর্ট ভবন। ছবি: ফাইল
নেত্রকোণার পৌর সুপার মার্কেট ভবন ১০ বছরেও নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ মে তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদুল হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তৌফিক ইনাম টিপু, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. অনিক হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
পরে লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু জানান, ২০১২ সালে নেত্রকোণা পৌর সুপার মার্কেটের বিদ্যমান একতলা মার্কেট ভবনটি ভেঙে চার তলা করা হবে- মর্মে ঘোষণা দিয়ে বরাদ্দ গ্রহীতা-ব্যবসায়ীদেরকে ভবন খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়।
এর বিরুদ্ধে বরাদ্দ গ্রহীতাদের পক্ষে একই বছর রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, যেহেতু পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান এক তলা মার্কেট ভবনটি অনতিবিলম্বে ভেঙে চার তলা করা হবে এবং সেখানে রিট আবেদনকারী-বরাদ্দ গ্রহীতাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে- মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিট আবেদনকারীদের মার্কেট ভবনটি ৩০ দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেন এবং একইসঙ্গে নতুন ভবনে প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনকারী- বরাদ্দ গ্রহীতরা যথারীতি নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দোকান খালি করে দিলেও বিগত ১০ বছরে পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেট ভবন করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বরং তা খালি ফেলে রেখেছে।
এমন পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্য দিকে অসহায় বরাদ্দ গ্রহীতারা দোকান তথা ব্যবসা হারিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।
এসব কারণে বরাদ্দ গ্রহীতা লিপি হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম আজাদ পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি এবং সে মোতাবেক হাইকোর্টের রায় প্রতিপালন না করায় ২০১৯ সালে আরেকটি রিট মামলা দায়ের করেন।
এই রিটের শুনানিকালে কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দিতে পৌর মেয়রকে তলব করেন হাইকোর্ট।