সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ফাইল ছবি
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটি ৩ মাসের মধ্যে ছাড়তে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ) দীর্ঘ শুনানিতে সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী ১৯৬২ সাল থেকে বাড়িটি হস্তান্তরের নথিপত্রের পরম্পরা তুলে ধরেন। তার দাবি, এই সম্পত্তি কখনও পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিলো না। ১৯৯৭ সালে নিয়ম মেনেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে বাড়িটি কেনেন সালাম মুর্শেদী।
কিন্তু রিটকারীর আইনজীবী পাল্টা নথিপত্র তুলে ধরে আদালতকে জানান, সালাম মুর্শেদীর পক্ষের যাবতীয় নথি জালিয়াতি করে বানানো, যা বিভিন্ন সময় সরকারি তদন্তেও প্রমাণিত। এ ছাড়া সালাম মুর্শেদী নিজেও এটাকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে এক চিঠিতে দাবি করেছেন বলে আদালতকে জানানো হয়।
এ অবস্থায় বাড়িটি দখলমুক্ত করে দুদকের তদন্তকে প্রভাবমুক্ত করার দাবি জানান রিটকারীর আইনজীবী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই রিটের শুনানিতে আদালত মন্তব্য করেছিলেন, বাড়িটি পরিত্যক্ত সরকারি সম্পত্তি।
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। একই বছরের ১ নভেম্বর সরকারি সম্পত্তি নিজের দাবি করার অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না–তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর ওই বাড়ি সম্পর্কিত নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। পরের বছরের ৩০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি আদালতে দেওয়া দুদকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সালাম মুর্শেদী জালিয়াতি করে ওই সম্পত্তি দখল করেছেন।