Logo
×

Follow Us

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধের প্রস্তাব

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৩০

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধের প্রস্তাব

আইন মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারী রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধের বিধানসহ আটটি সংশোধনীর প্রস্তাব এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের প্রাথমিক খসড়া করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

খসড়ায় এই আইনের অধীনে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসহ ইত্যাদি অপরাধ হতে পারে এটা জানা সত্ত্বেও যদি কোন সংস্থা, সংগঠন, দল, সংঘবদ্ধ চক্র বা সত্ত্বার নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকেও বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশী আইনজীবী নিয়োগ, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক যেন আদালতে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারে খসড়ায় সেই প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ট্রাইব্যুনাল চাইলে শুনানি সরাসরি সম্প্রচারের বিধান যুক্তের প্রস্তাব করা হয়। 

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক খসড়ার উপর মতবিনিময় সভায় অংশ নেন আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজ্ঞ, শিক্ষার্থীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত নিয়ে আইনটি সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, অতীতে দেখেছেন, এদেশে বিচারের নামে কি ধরণের অবিচার হয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, আমাদের বুকের ভিতর যত কষ্ট, হতাশা ও ক্ষোভ থাকুক না কেন এই খুনের বিচারকে অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমরা প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার  বিচার করতে চাই না। আমরা সুবিচার নিশ্চিত করতে চাই।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদি নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা না হতো তাহলে জুলাই-আগস্টের হত্যাকান্ড সংঘটিত হত না। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এম. তাজুল ইসলাম বলেন, আইনটি এমনভাবে সংশোধন করা উচিত যাতে বিচারের পর দুই পক্ষই মনে করে যেন তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। 

সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের  অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫