
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দুইদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনিসুল হককে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার আবেদনে উল্লেখ করেন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়ের আসামিরা বিভিন্ন উপায়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আনিসুল হকও দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আসামি জামিনে মুক্ত হলে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন। ‘আওয়ামী সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী’ সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আল আমিন নিহত হন। ওই ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত আল আমিনের মা।
মামলায় আনিসুল হককে ‘পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা’ হিসেবে ৪ নম্বর আসামি করা হয়।
ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং বাকি আসামিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আদালত শেষ দফায় আনিসুল হককে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানে।
এ পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বাড্ডা, বনানী থানার প্রায় অর্ধ শতাধিক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দফায় দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রীকে।