ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। এতে আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।  

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় মাইকেলের সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সাংগঠনিক কাজ শেষে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গুমের শিকার হন পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন ইউপিডিএফের নেতা মাইকেল চাকমা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তার সন্ধান দেওয়ার জন্য বিগত সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল। হাইকোর্টে রিট হলেও মাইকেলকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি শেখ হাসিনার সরকার।

বিগত সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্ট ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে মাইকেল চাকমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। 

গত ১৮ ডিসেম্বর পাঁচ বছর গুম করে রাখার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন তিনি। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শুরু করে।

মৌখিক অভিযোগের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা মাইকেল চাকমার অভিযোগ আমলে নিয়েছি। শিগগির তার অভিযোগের তদন্ত শুরু করব।’

মৌখিক অভিযোগের পর মাইকেল চাকমা বলেছিলেন, ‘রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে সাদা পোশাকধারী অন্তত সাত-আটজন আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারা চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তোলে। আমি গাড়ির ভেতর একটি ওয়াকিটকি শনাক্ত করতে পেরেছিলাম। প্রথমে তারা আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং পরে আরও দুটি কক্ষে নিয়ে যায়, যেখানে নির্যাতন করা হয়। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ির সমাবেশে অংশ নেওয়ার সময় কেন সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল, তারা আমাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।