অবশেষে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি অশীতিপর রাবেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৪৯

রাবেয়া খাতুন । ফাইল ছবি
অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ১৭ বছর আগে হওয়া অস্ত্র মামলাটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।
আশরাফুল আলম বলেন, ‘বৃদ্ধার ক্ষেত্রে মামলটি বাতিল (কোয়াশ) করে দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আর মামলাটি থাকল না, পুরোপুরি বাতিল হয়ে গেল।
এ সময় আদালত বলেছেন, ‘এই মামলায় রাবেয়া খাতুনকে আর আদালতে আসতে হবে না। একইসঙ্গে এই মামলা সংশ্লিষ্ট ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আল মামুন ও এপিপিকে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।
‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।
এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তাঁর বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য, তাঁর বয়স ১০৪ বছর।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেন রাবেয়া। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে, তাও জানেন না।
রাবেয়া বলেছিলেন, ‘পুলিশেরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।’