
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির জামিন নাকচের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা রূপায়ন গ্রুপে জমা দেয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়। এ রকম কোনো টাকা তিনি জমা দেননি। এটা ষড়যন্ত্রমূলক।
ওই সময় আসামিপক্ষের উদ্দেশে বিচারক বলেন, এতগুলো টাকা আপনারা জমা দেননি। অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে? আর কারো নামে কেউ টাকা জমা দেয় না কেন?
অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও মীর আহমেদ আলী সালাম আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানিতে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ৬টি কিস্তিতে টাকাগুলো জমা দেয়া হয়েছে। দুদক মামলার এজাহারের সঙ্গে টাকা জমা দেয়ার স্লিপগুলো জমা দেয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচের ওই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রূপায়ন হাউজিং এস্টেটে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ আনা হয়।
ওই দিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে দুদক। আদালত ওই দিন আসামির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।