সম্রাটসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৪৫

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ফাইল ছবি
ক্যাসিনোকাণ্ডে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- খালিদ মাহমুদ ভুইয়া, এনামুল হক আরমান, রাজীব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা, মোমিনুল হক সাঈদ ও শাজাহান বাবলু।
হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নাম উঠে এসেছে।
আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) পুলিশের আইজি কর্তৃক প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চে উপস্থাপন করার পরে শুনানি হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জমা দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের কাজ করছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। প্রতিবেদনে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া, এনামুল হক আরমান, রাজীব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা, মোমিনুল হক সাঈদ, শাজাহান বাবলুর নাম রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন। অর্থ পাচার বিষয়ে দুদকসহ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিবেদন দাখিলের পর গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আরও শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সিআইডি জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সম্রাটসহ সাতজন হ্যাকারদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাচার করেছে। শুধু সম্রাট ও আরমানই ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।