নিউমার্কেটে সংঘর্ষ
বিএনপি নেতা মকবুলের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৩:১১

বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনের সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। দুপুরের পর তার রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে।
পুলিশের নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মকবুল হোসেনকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এই আসামির সাথে আরো আসামিরা ছিল। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ দরকার।
নিউমার্কেটে সংঘর্ষের দিনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার এক নম্বর আসামি মকবুল। তিনি নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। মার্কেটে তার দুইটি দোকান রয়েছে। ওই দোকান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে দাবি করছে পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।
নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।